লক্ষীছড়ি’র বর্মাছড়িতে প্রধানমন্ত্রীর আশ্রয়ণ প্রকল্পের ঘর পেলো হত দরিদ্র মানুষেরা
প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ৫, ২০২১; সময়: ১:২৬ অপরাহ্ণ |
পার্বত্য জেলা খাগড়াছড়ির লক্ষীছড়ি উপজেলা তিনটি ইউনিয়নের মধ্যে সবচেয়ে দূর্গম হচ্ছে বর্মাছড়ি ইউনিয়ন ভালো যোগাযোগ ব্যবস্থা না থাকায় অন্য দুই ইউনিয়ন থেকে পিছিয়ে রয়েছে বর্মাছড়ি ইউনিয়ন। অবহেলিত এই জনপদে বসবাস করছে প্রায় ১১৭৪ টি পরিবার, যার অধিকাংশ দুস্ত ও অসহায়।
মুজিব বর্ষ উপলক্ষে প্রধানমন্ত্রীর গ্রাম ও আশ্রয়ণ প্রকল্পের ঘরগুলো কৃতিত্বের সাথে বাস্তবায়ন করছেন লক্ষীছড়ি উপজেলা প্রশাসন আকা বাকা কাঁচা পথ পারি দিয়ে ঘরের জিনিসপত্র বর্মাছড়িতে পৌছানো খুবই চ্যালেঞ্জিং ছিল বলে জানান উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা। দফায় দফায় বৃষ্টিতে পাহাড়ি ঢলে রাস্তা হয়ে উঠে একেকটা গিরি পথ। এই গিরি পথ ডিঙিয়ে ১৭৭ টি পরিবার পেয়েছে নতুন ঘর।
স্বপন দাস নতুন ঘর পেয়ে জানান, ছোট্টো একটা বাঙা ঘরে ছিলাম কল্পনাও করি নাই যে দালান বাড়িতে থাকব প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে অনেক ধন্যবাদ তিনি অনেক অনেক দিন বেঁচে থাকুক।
বাধইয়সি মারমা আক্ষেপ করে বলেন, আমি আগে একটা বাঙা ঘরে থাকতাম পুরো ঘরে বৃষ্টি পানি পড়তো, ঘরে যদি বৃষ্টির পানি না পড়তো আমার অসুস্থ বৃদ্ধ মাকে হয়তো বাঁচাতে পারতাম। মাননীয় প্রধানমন্ত্রীকে অনেক ধন্যবাদ।
এ প্রসঙ্গে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো: ইয়াছিন চট্রগ্রাম লাইভকে জানান, যোগাযোগ ব্যবস্থা ভালো না হওয়ায় ঘরগুলো বাস্তবায়ন খুবই চ্যালেঞ্জিং ছিলো। উপজেলায় ৭’শ ঘরের মধ্যে বর্মাছড়ি ইউনিয়নে ১৭৭ টি ঘর দেয়া হয়েছে। আমি নিজে কয়েকবার ওখানে গিয়েছি এবং সুষ্ঠু বাস্তবায়ন নিশ্চিত করেছি।
হাসনাইন শরীফ, লক্ষীছড়ি (খাগড়াছড়ি) প্রতিনিধি