ইয়াবার পর মিয়ানমার থেকে আসছে ‘আইস’
ইয়াবার পর মিয়ানমার থেকে আসছে ‘আইস’ । আর সেই আইস দেওয়া হচ্ছে বাকিতে। আইস বিক্রির পর হুন্ডির মাধ্যমে বা হাতে হাতে টাকা চলে যাচ্ছে মিয়ানমারে।
র্যাব জানায়, মিয়ানমার বাকিতেই দেশীয় মাদককারবারিদের আইস সরবরাহ করছে। আইসের চালান দেশে বিক্রি হওয়ার পর হুন্ডির মাধ্যমে বা হাতে হাতে মিয়ানমারে টাকা চলে যাচ্ছে।
আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর চোখকে ফাঁকি দিয়ে সাগরপথ হয়ে নৌপথে ঢাকায় আইস নিয়ে আসছিল চক্রটি। পরে ঢাকা থেকে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে আইসের চালান পাঠানোর পরিকল্পনা করেছিল তারা।
বুধবার রাতে গোয়েন্দা শাখার সহায়তায় মুন্সিগঞ্জের গজারিয়া থেকে প্রায় ৫০ কোটি টাকা মূল্যের ১২ কেজি আইসসহ ৫ জনকে গ্রেফতার করেছে র্যাব-১৫। এটাই এযাবত জব্দ হওয়া আইসের সবচেয়ে বড় চালান।
গ্রেফতাররা হলেন—জসিম উদ্দিন ওরফে জসিম (৩২), মকসুদ মিয়া (২৯), মো রিয়াজ উদ্দিন (২৩), শাহিন আলম (২৮) ও মো সামছুল আলম (৩৫)।
এ সময় তাদের কাছ থেকে বিপুল পরিমাণ আইস ছাড়াও ১ লাখ পিস ইয়াবা, ৪ হাজার ৬০০ পিস চেতনানাশক মাদক সিডাকটিভ ইনজেকশন, ২টি বিদেশি পিস্তল, ৯ রাউন্ড গোলাবারুদ, ২টি টর্চলাইট, ১ লাখ ৬৪ হাজার বাংলাদেশি টাকা, ১ লাখ বার্মিজ মুদ্রা ও ৫টি মোবাইল ফোন জব্দ করা হয়।
বৃহস্পতিবার (৩ মার্চ) দুপুরে রাজধানীর কারওয়ান বাজার র্যাব মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান র্যাবের লিগ্যাল অ্যান্ড মিডিয়া উইংয়ের পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈন।
গ্রেফতারদের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদের ভিত্তিতে তিনি বলেন, চক্রটি বাংলাদেশে জসিমের নেতৃত্বে তাদের কার্যক্রম পরিচালনা করে আসছিল। এই চক্রের সদস্য রয়েছে ১২-১৫ জন। চক্রটি মিয়ানমার থেকে আইস ও ইয়াবা সংগ্রহ করে সোনাদিয়া হয়ে ঢাকা, মুন্সিগঞ্জ, নারায়ণগঞ্জ, মানিকগঞ্জ, বরিশালসহ বিভিন্ন এলাকায় নানা কৌশলে চালান করতো। আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর চোখকে ফাঁকি দিতে মূলত নৌপথ ব্যবহার করত তারা।