গান্ধী আশ্রমে ভারতীয় হাইকমিশনারের শ্রদ্ধা

প্রকাশিত: অক্টোবর ২, ২০২৩; সময়: ৯:১৩ অপরাহ্ণ |

ভারতের জাতির পিতা মহাত্মা গান্ধীর ১৫৪ তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষ্যে নোয়াখালীতে ঐতিহাসিক গান্ধী আশ্রম পরিদর্শন করেছেন বাংলাদেশে নিযুক্ত ভারতীয় হাইকমিশনার প্রণয় ভার্মা।

সোমবার (২ অক্টোবর) সকালে ভারতীয় হাইকমিশনার সেখানে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে গান্ধীর প্রতি শ্রদ্ধা জানান।

তিনি গান্ধী আশ্রম ট্রাস্ট কর্তৃক আয়োজিত “গান্ধিজিস কোয়েস্ট ফর পিস্‌ অ্যান্ড হারমনি ইন নোয়াখালী অ্যান্ড ইটস রিলেভ্যান্স ইন দ্য কনটেম্পোরারি ওয়ার্ল্ড” শীর্ষক সেমিনারে বক্তব্য প্রদান করেন।

হাইকমিশনার ভার্মা বলেন, মানবতার সহজাত মঙ্গলের প্রতি গান্ধীজির প্রত্যয় ও পরিবর্তনের শক্তি হিসেবে শান্তি ও অহিংসার প্রতি তাঁর অটল বিশ্বাস ভারতের স্বাধীনতা সংগ্রামের সময়কার মতোই আজও প্রাসঙ্গিক।

তিনি জোর দিয়ে বলেন যে, ১৯৪৬ সালে নোয়াখালীতে গান্ধীজির ঐতিহাসিক সফর প্রবল প্রতিবন্ধকতাময় পরিস্থিতিতেও সংলাপ, সহানুভূতি ও বোঝাপড়ার অসাধারণ পরাক্রমের উদাহরণ সৃষ্টি করে। অহিংসা ও সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির নীতির প্রতি তাঁর অদম্য নিবেদন শুধু নোয়াখালীকে সান্ত্বনাই দেয়নি, মানবতার বিবেকের ওপরও একটি অমোঘ চিহ্ন রেখে গেছে।

হাইকমিশনার আরও উল্লেখ করেন যে, প্রতি বছর মহাত্মা গান্ধীর জন্মবার্ষিকীতে আন্তর্জাতিক অহিংসা দিবস উদ্‌যাপন শান্তি, অহিংসা, সহনশীলতা ও বোঝাপড়ার মূল্যবোধের সর্বজনীনতাকে পুনঃনিশ্চিত করে এবং বর্তমান বৈশ্বিক প্রতিবন্ধকতা, যেমন সন্ত্রাসবাদ মোকাবিলায় সেগুলোর প্রাসঙ্গিকতা তুলে ধরে। হাই কমিশনার বলেন, কোনো কারণই সহিংসতা ন্যায্যতা প্রদান করতে পারে না এবং মানবতাবাদ সর্বদা জয়ী হবে – ভারতের এই দীর্ঘস্থায়ী বিশ্বাসের প্রতি দৃঢ় প্রতিশ্রুতি হলো আন্তর্জাতিক অহিংসা দিবস।

হাইকমিশনার ভার্মা গান্ধী আশ্রমে ১৯৪৬ সালে নোয়াখালীতে গান্ধীজীর সফরের সাথে সম্পর্কিত স্মৃতিচিহ্ন প্রদর্শনকারী জাদুঘর পরিদর্শন করেন এবং গান্ধী আশ্রম ট্রাস্টকে ভারতে গান্ধীবাদী অধ্যয়নের জন্য নিবেদিত বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের সাথে নিয়মিতভাবে সহযোগিতা ও আদান-প্রদান চালিয়ে যেতে উৎসাহিত করেন।

ডিজাইন ও কারিগরি: চট্টগ্রাম লাইভ
উপরে