শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দেশ অদম্য গতিতে এগিয়ে চলছে: তথ্য মন্ত্রী
‘স্বাধীন বাংলাদেশের স্বপ্নদ্রষ্টা ও রূপকার বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বপ্নপূরণে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দেশ অদম্য গতিতে এগিয়ে চলছে। স্বাধীনতাবিরোধী অপশক্তিকে নস্যাৎ করে দেশকে আমরা সেই স্বপ্নের ঠিকানায় নিয়ে যাবো’ তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ।
রবিবার (২৭ মার্চ) আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস ২০২২ উপলক্ষে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ আয়োজিত আলোচনা সভায় তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী একথা বলেন।
আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে দলের কেন্দ্রীয় নেতারা উক্ত সভায় বক্তব্য রাখেন।তথ্য মন্ত্রণালয় থেকে পাঠানো সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী বলেন, ‘জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু ষাটের দশকে নয়, বরং পাকিস্তান সৃষ্টির পরই উপলব্ধি করেছিলেন, পাকিস্তান রাষ্ট্র ব্যবস্থায় বাঙালিদের মুক্তি নেই। বরং আমাদের ভাষা, সংস্কৃতি, কৃষ্টি, ঐতিহ্য সমস্ত কিছু হুমকির মুখে পড়বে। তাই ১৯৪৮ সালের ১২ আগস্ট পাকিস্তানের স্বাধীনতা দিবসের (১৪ আগস্ট) আগেই দেওয়া বিবৃতিতে তরুণ শেখ মুজিব ১৪ আগস্টকে আনন্দ-উল্লাসের নয়, বরং পশ্চিমাদের নাগপাশ থেকে মুক্তির শপথ নেওয়ার দিন হিসেবে পালনের আহ্বান জানিয়েছিলেন। তারপর দীর্ঘ সংগ্রামের পথ বেয়ে ১৯৭১ সালের ৭ মার্চ সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে লাখ লাখ মানুষের সভায় বঙ্গবন্ধু স্বাধীনতার ঘোষণাই করে দিয়েছিলেন।
মন্ত্রী বলেন, ‘পাকিস্তানি গোয়েন্দা সংস্থা আইএসআই থেকে কেন্দ্রে রিপোর্ট পাঠানো হয়েছিল— শেখ মুজিব কার্যত পূর্ব পাকিস্তানের স্বাধীনতা ঘোষণা করে দিয়েছেন। কিন্তু আমাদের চেয়ে থাকা ছাড়া করার কিছুই নেই।’
‘২৬ মার্চের প্রথম প্রহরে বঙ্গবন্ধু স্বাধীনতা ঘোষণা করেন এবং সেই ঘোষণা ইপিআরের ওয়ারলেসে সারা বাংলাদেশে ছড়িয়ে পড়ে।’ এমনটা উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, ‘যুক্তরাষ্ট্রের এবিসি নিউজে ১৯৭১ সালে ২৬ মার্চ তারিখে বঙ্গবন্ধুর স্বাধীনতা ঘোষণার কথা উল্লেখ করা হয়। বিশ্বের শত শত গণমাধ্যমে বঙ্গবন্ধুর স্বাধীনতার ঘোষণা প্রচার হয়। ২৬ মার্চ ইয়াহিয়া খানও বলেন— শেখ মুজিব বিশ্বাসঘাতকতা করেছে! তিনি তখন বঙ্গবন্ধুকে, আওয়ামী লীগকে দোষারোপ করেন।’
ইতিহাসের দিকে নতুন প্রজন্মের দৃষ্টি আকর্ষণ করে হাছান মাহমুদ বলেন, ‘১৯৭৫ সালে বঙ্গবন্ধুকে যখন হত্যা করা হয় তখন দেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির হার ছিল ৯.৫ শতাংশ। বঙ্গবন্ধু বেঁচে থাকলে ১০-১৫ বছরের মাথায় বাংলাদেশ উন্নত রাষ্ট্র হতো। বঙ্গবন্ধু-কন্যার নেতৃত্বে আজ আমরা ৮ শতাংশ পর্যন্ত প্রবৃদ্ধি অর্জন করতে পেরেছি। যে বছর বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করা হয় সে বছর ১০ হাজার মেট্রিক টন খাদ্য উৎপাদন হয়েছিল।’
তিনি বলেন, বাংলাদেশ আজ খাদ্যে উদ্বৃত্তের দেশ। ১৬ কোটি মানুষের সর্বনিম্ন মাথাপিছু কৃষিজমির দেশ আজ বিশ্বে ধান উৎপাদনে তৃতীয়, সবজি উৎপাদনে তৃতীয়, মিঠা পানির মাছ উৎপাদনে তৃতীয়, আলু উৎপাদনে সপ্তম। জননেত্রী শেখ হাসিনার জাদুকরি নেতৃত্বেই এমনটা হয়েছে।
এই উন্নয়ন অনেকের সহ্য হয় না উল্লেখ করে ড. হাছান বলেন, ‘যারা পাকিস্তানের সঙ্গ রাজনীতি করে, যুদ্ধাপরাধীদের সঙ্গে নিয়ে রাজনীতি করে, যুদ্ধাপরাধীদের মন্ত্রিসভায় বসায়; এই অগ্রগতি তাদের পছন্দ হয় না।’