ব্যবসায়ীদের সঙ্গে মতবিনিময় করেছেন নবনিযুক্ত ভারতীয় হাইকমিশনার
দেশের শীর্ষস্থানীয় ব্যবসায়ী নেতা ও চেম্বারসমূহের নেতৃবৃন্দের সঙ্গে মতবিনিময় করেছেন বাংলাদেশে নিযুক্ত ভারতের হাই কমিশনার শ্রী প্রণয় ভার্মা।
সোমবার (১৪ নভেম্বর) এ মতবিনিময় সভার আয়োজন করা হয়।
হাই কমিশনার তার বক্তৃতায় দুই দেশের মধ্যে ক্রমবর্ধমান অর্থনৈতিক সম্পৃক্ততার গুরুত্বারোপ করেন যা প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দূরদর্শী নেতৃত্বে আমাদের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ককে উল্লেখযোগ্যভাবে রূপান্তরিত করেছে।
তিনি উল্লেখ করেন, গত পাঁচ বছরে দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য দ্বিগুণেরও বেশি বৃদ্ধি পেয়েছে এবং গত অর্থবছরে ভারতে বাংলাদেশের রপ্তানি প্রায় ২ বিলিয়ন মার্কিন ডলারে পৌঁছানোতে ভারত এশিয়ায় বাংলাদেশের জন্য সবচেয়ে বড় রপ্তানি গন্তব্য হয়ে উঠেছে।
হাইকমিশনার ভার্মা কমপ্রিহেনসিভ ইকনোমিক পার্টনারশিপ অ্যাগ্রিমেন্ট (সেপা)-র গুরুত্বের ওপর জোর দেন যা উভয়পক্ষই আলোচনায় সম্মত হয়েছিল এবং একটি নতুন প্রাতিষ্ঠানিক কাঠামো ও সাপ্লাই চেইন সংযোগ তৈরি করে দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য ও বিনিয়োগ সম্পর্ক বাড়ানোর সম্ভাবনা রয়েছে। তিনি সীমান্তে উন্নত যোগাযোগ এবং বাণিজ্য অবকাঠামোর গুরুত্বের ওপর জোর দেন যা ভারত ও বাংলাদেশ উভয়েরই দ্রুত অর্থনৈতিক উন্নয়নের মাধ্যমে উদ্ভূত অর্থনৈতিক অংশীদারিত্বের পূর্ণ সম্ভাবনাকে কাজে লাগাতে সহায়তা করবে। এই প্রেক্ষাপটে, তিনি অন্যান্য স্থলবন্দরে অবকাঠামোগত উন্নতির মাধ্যমে আইসিপি পেট্রাপোল-বেনাপোল-এর ওপর চাপ কমানো এবং বিধিনিষেধহীন বন্দরের সংখ্যা বৃদ্ধি করার প্রয়োজনীয়তার ওপর জোর দেন, যা স্থলবন্দরে বিনিয়োগকে উৎসাহিত করবে।
হাইকমিশনার সড়ক, রেলপথ, অভ্যন্তরীণ নৌ-পথ ও কোস্টাল শিপিংয়ের মাধ্যমে এই উপ-অঞ্চলের বৃহত্তর সহযোগিতা, একীভূতকরণ এবং বহুমুখী সংযোগের প্রয়োজনীয়তার কথাও উল্লেখ করেন।
এই ইন্টারঅ্যাক্টিভ সেশনে বাংলাদেশের শীর্ষস্থানীয় ব্যবসায়িক নেতৃবৃন্দ ও ব্যবসায়ী চেম্বার প্রধানগণ উপস্থিত ছিলেন। ঢাকায় আগত সোসাইটি অফ ইন্ডিয়ান অটোমোবাইল ম্যানুফ্যাকচারার্স (SIAM)-এর একটি প্রতিনিধি দলও এই অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করে।