মালবাহী ট্রেন দিয়ে হলদিবাড়ী-চিলাহাটি রেলপথ চালু

প্রকাশিত: আগস্ট ১, ২০২১; সময়: ৩:১৭ অপরাহ্ণ |

হলদিবাড়ী-চিলাহাটি রেলপথে মালবাহী ট্রেন চলাচল (নিয়মিত) শুরু হয়েছে। এর ফলে ৫৫ বছরের অবসান ঘটলো রবিবার (১ আগস্ট)।

ভারতীয় রেলওয়ে উত্তর-পূর্ব সীমান্ত রেলওয়ের ডামডিম স্টেশন থেকে পাথরবোঝাই প্রথম মালবাহী ট্রেন বাংলাদেশে পাঠিয়েছে।

ঢাকার ভারতীয় হাইকমিশন অফিস এ তথ্য জানায়।

ভারত ও বাংলাদেশ দুই প্রধানমন্ত্রীই উভয় দেশের মধ্যে ১৯৬৫ সাল পূর্ববর্তী সমস্ত রেল সংযোগ পুনরায় কার্যকর করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। এ কারণে রেল সংযোগটিকে পুনঃস্থাপিত করার কাজ হাতে নেয় উভয় দেশের রেলপথ মন্ত্রণালয় ।

পুনঃস্থাপনের পর ২০২০ সালের ১৭ ডিসেম্বর প্রধানমন্ত্রী পর্যায়ের ভার্চ্যুয়াল দ্বিপাক্ষিক শীর্ষ সম্মেলনের সময় ভারত ও বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীরা যৌথভাবে হলদিবাড়ি (ভারত) এবং চিলাহাটি (বাংলাদেশ) রেল সংযোগটি উদ্বোধন করেন।

হলদিবাড়ী-চিলাহাটি রেল সংযোগটি ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যকার ৫ম রেল সংযোগ, যা ১ আগস্ট থেকে কার্যকর হচ্ছে।

এই রেলপথ দিয়ে ভারত থেকে বাংলাদেশে রপ্তানিযোগ্য পণ্যের মধ্যে রয়েছে পাথর ও বোল্ডার, খাদ্যশস্য, তাজা ফল, রাসায়নিক সার, পেঁয়াজ, মরিচ, রসুন, আদা, ফ্লাই অ্যাশ, ক্লে, চুনাপাথর, কাঠ ও টিম্বার ইত্যাদি। বাংলাদেশ থেকে ভারতে সব রপ্তানিযোগ্য পণ্যই অনুমোদিত।

চালু হওয়া এই রেল সংযোগ ভারত-বাংলাদেশ রেল যোগাযোগ এবং দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্যকে শক্তিশালী করবে। এটি আঞ্চলিক বাণিজ্য সম্প্রসারণ, এ অঞ্চলের অর্থনৈতিক ও সামাজিক উন্নয়নকে গতিশীল করতে প্রধান বন্দর ও স্থল বন্দরগুলোতে রেল নেটওয়ার্কের প্রবেশাধিকার বাড়বে বলে জানিয়েছে ঢাকার ভারতীয় হাইকমিশন।

১৯৪৭ সালে দেশভাগের পর ভারত ও তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তানের মধ্যে ১৯৬৫ পর্যন্ত সাতটি রেল সংযোগ চালু ছিল। বর্তমানে ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে চারটি রেল সংযোগ চালু রয়েছে। এগুলো- পেট্রাপোল (ভারত) – বেনাপোল (বাংলাদেশ), গেদে (ভারত) – দর্শনা (বাংলাদেশ), সিংহাবাদ (ভারত)-রহনপুর (বাংলাদেশ), রাধিকাপুর (ভারত) – বিরল (বাংলাদেশ)। হলদিবাড়ী-চিলাহাটি রেল সংযোগ এমনই একটি রুট যা ১৯৬৫ সাল পর্যন্ত কার্যকর ছিল।

ডিজাইন ও কারিগরি: চট্টগ্রাম লাইভ
উপরে