সমাজের বিত্তবানদের দরিদ্র জনগোষ্ঠীর পাশে দাঁড়ানোর আহ্বান রাষ্ট্রপতির
“ঈদুল ফিতর মুসলমানদের অন্যতম প্রধান ধর্মীয় উৎসব। মাসব্যাপী সিয়াম সাধনা ও সংযম পালনের পর অপার খুশি আর আনন্দের বার্তা নিয়ে আমাদের মাঝে আসে পবিত্র ঈদুল ফিতর। এ আনন্দ ছড়িয়ে পড়ে সবার মাঝে, গ্রামগঞ্জে, সারাবাংলায়, সারাবিশ্বে”রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ।
পবিত্র ঈদুল ফিতর উপলক্ষে দেওয়া বাণীতে তিনি এসব কথা বলেন।
রাষ্ট্রপতি বলেন, ঈদুল ফিতরের দিন সব শ্রেণি-পেশার মানুষ এক কাতারে শামিল হন ও ঈদের আনন্দকে ভাগাভাগি করে নেন। ঈদ সবার মধ্যে গড়ে তোলে সৌহার্দ্য, সম্প্রীতি আর ঐক্যের বন্ধন। ঈদুল ফিতরের শিক্ষা সবার মধ্যে ছড়িয়ে পড়ুক, গড়ে উঠুক সমৃদ্ধ বাংলাদেশ- এ প্রত্যাশা করি।
তিনি বলেন, পবিত্র ঈদুল ফিতর উপলক্ষে আমি দেশবাসীসহ বিশ্ববাসীকে জানাই আন্তরিক শুভেচ্ছা ও মোবারকবাদ।
রাষ্ট্রপতি বলেন, ইসলাম শান্তি ও কল্যাণের ধর্ম। এখানে হিংসা-বিদ্বেষ, হানাহানি, কূপমণ্ডূকতার কোনো স্থান নেই। মানবিক মূল্যবোধ, পারস্পরিক সহাবস্থান, পরমতসহিষ্ণুতা ও সাম্যসহ বিশ্বজনীন কল্যাণকে ইসলাম ধারণ করে। ইসলামের এ সুমহান বার্তা ও আদর্শ সবার মাঝে ছড়িয়ে দিতে হবে।
তিনি বলেন, ভয়াবহ করোনা মহামারির মধ্যেই বিগত দুটি ঈদুল ফিতর উদযাপন করতে হয়েছিল। করোনাভাইরাসের সংক্রমণে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছিল মানুষের জীবন ও জীবিকা। বর্তমানে দেশে করোনা সংক্রমণের হার অনেক কমে এসেছে। জীবনযাত্রাও স্বাভাবিক হয়ে এসেছে। তবে ভবিষ্যৎ সংক্রমণ বৃদ্ধি রোধ করতে আমাদেরকে সতর্ক থাকতে হবে ও সবাইকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে হবে।
আবদুল হামিদ বলেন, আমি সমাজের সচ্ছল ব্যক্তিবর্গের প্রতি দরিদ্র জনগোষ্ঠীর পাশে দাঁড়ানোর আহ্বান জানাচ্ছি। যাতে ধনী-দরিদ্র নির্বিশেষে সবাই ঈদের আনন্দ সমানভাবে উপভোগ করতে পারে। মানবতার মুক্তির দিশারি হিসেবে ইসলামের মর্মার্থ ও অন্তর্নিহিত তাৎপর্য দিকে দিকে ছড়িয়ে পড়ুক, বিশ্ব ভরে উঠুক শান্তি আর সৌহার্দ্যে- পবিত্র ঈদুল ফিতরে এ আমার প্রত্যাশা।
