৮০০ কোটি রুপির ক্লাব অতিক্রম করেছে ‘আরআরআর’
‘আরআরআর’ ঝড় যেন থামছেই না। এস এস রাজামৌলি পরিচালিত ‘বাহুবলী’ সিরিজ সিনেমার মতো ‘আরআরআর’ ও বক্স অফিসে বিশাল সফলতা পেয়েছে। সিনেমাটি শুধু ভারতে নয়, আন্তর্জাতিক বাজারেও ব্যাপক সাফল্য পেয়েছে।
এস এস রাজামৌলি নির্মিত বহুল আলোচিত সিনেমা ‘ট্রিপল আর’। গত ২৫ মার্চ মুক্তি পেয়েছে এটি। মুক্তির পর থেকেই দর্শক-সমালোচকদের প্রশংসা কুড়াচ্ছে সিনেমাটি। বক্স অফিসেও বাজিমাত করেছে।
ইন্ডিয়া টুডে এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, ‘ট্রিপল আর’ সিনেমাটি দ্বিতীয় সপ্তাহে বক্স অফিসে দারুণ সাড়া ফেলেছে। ট্রেড রিপোর্ট অনুসারে, সিনেমাটি বিশ্বব্যাপী ৮০০ কোটি রুপির ক্লাব অতিক্রম করেছে। আর এই ধারাবাহিকতা এখনো অব্যাহত রয়েছে।
‘আরআরআর’-এর কাহিনি
‘আরআরআর’-এর কাহিনি মূলত দুই স্বাধীনতাসংগ্রামীর জীবনীকে ভিত্তি করে রচিত। এঁরা হলেন আল্লুরি সীতারাম রাজু এবং কোমারাম ভীম। স্বভাবতই চলচ্চিত্রের স্বার্থে এঁদের জীবনকাহিনির সঙ্গে কিছু কাল্পনিক কাহিনিও জোড়া হয়েছে। ‘আরআরআর’ মূলত ইতিহাস আশ্রিত একটি উপন্যাস।
চলচ্চিত্রে আল্লুরি সীতারাম রাজুর ভূমিকায় অভিনয় করেছেন রাম চরণ এবং কোমারাম ভীমের ভূমিকায় অভিনয় করেছেন জুনিয়র এনটিআর।
কারা ছিলেন রাজু ও ভীম
অন্ধ্রপ্রদেশের আদিবাসী নেতা আল্লুরি সীতারাম রাজু ছিলেন একজন স্বাধীনতা সংগ্রামী। তিনি ব্রিটিশরাজের বিরুদ্ধে সশস্ত্র সংগ্রাম চালিয়েছিলেন। তাঁর লড়াই ছিল মূলত ব্রিটিশ শাসকদের প্রণীত ১৮৮২ সালের মাদ্রাজ বন আইনের (Madras Forest Act) বিরুদ্ধে। জঙ্গলে আদিবাসীদের অধিকার ফিরিয়ে দেওয়ার দাবিতে ১৯২২-এ রম্পা বিদ্রোহ সংঘটিত করেছিলেন রাজু।
তেলঙ্গানার গোন্ড উপজাতি নেতা কোমারাম ভীম হায়দরাবাদ স্টেটকে মুক্ত করার জন্য নিজামের বিরুদ্ধে লড়েছিলেন। একই সঙ্গে তাঁর লড়াই ছিল ব্রিটিশরাজের বিরুদ্ধে। অন্যান্য গোন্ড নেতা ও কমিউনিস্ট বিপ্লবীদের নিয়ে ১৯৩০-এর দশকে কোমারাম যে আন্দোলন শুরু করেছিলেন তা-ই ১৯৪৬-এর তেলঙ্গানা বিদ্রোহের রূপ পায়।