৩৩৮ ওসি-১১০ ইউএনও বদলির অনুমোদন ইসি’র
৩৩৮ থানার ওসি ও ১১০ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে (ইউএনও) বদলির অনুমোদন দিয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)।
বৃহস্পতিবার (৭ ডিসেম্বর) নির্বাচন কমিশন সূত্র এ তথ্য নিশ্চিত করেছে। গতকাল বুধবার (৬ ডিসেম্বর) স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে ৩৩৮ থানার ওসি ও ১১০ ইউএনওকে বদলির তালিকা পাঠানো হয় ইসিতে।
নির্বাচন কমিশনের এক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা বলেন, ওসি-ইউএনও বদলির প্রস্তাব অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। এই সংক্রান্ত একটা ফাইল স্বাক্ষরও হয়েছে। এখন চিঠি ইস্যু হবে। এই চিঠি স্বরাষ্ট্র ও জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় বরাবর পাঠানো হবে।
গত সোমবার (৪ ডিসেম্বর) দেশের আট বিভাগের ৪৭ জন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে বদলির প্রস্তাবে সম্মতি দেয় নির্বাচন কমিশন।
এর আগে আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন সুষ্ঠু করার জন্য সারাদেশে সব থানার ওসিকে পর্যায়ক্রমে বদলির জন্য স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে চিঠি দিয়েছিল নির্বাচন কমিশন ইসি।
আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় নির্বাচন সুষ্ঠু করার লক্ষ্যে যেসব ওসি বর্তমান কর্মস্থলে ছয় মাসের বেশি সময় ধরে চাকরি করছেন প্রথমে তাদের ও পরে পর্যায়ক্রমে সারাদেশে ওসি বদলির নির্দেশ দেয় নির্বাচন কমিশন। মন্ত্রিপরিষদ সচিব ও আইজিপিকে চিঠি পাঠিয়ে ৫ ডিসেম্বরের মধ্যে ওসিদের বদলির প্রস্তাব ইসিতে পাঠাতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। পরে নির্বাচন কমিশন বদলির প্রস্তাব পাঠাতে আরও তিন দিন সময় বাড়ায়। সারাদেশে বর্তমানে ৬৫০টির বেশি থানা রয়েছে।
এছাড়া দেশের সব ইউএনওকেও পর্যায়ক্রমে বদলি করার সিদ্ধান্ত নেয় ইসি। ইউএনওদের বদলির বিষয়ে ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশনা দিয়ে গত ৩০ নভেম্বর জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়কে চিঠি দেওয়া হয়। তাতে বলা হয়, প্রথম পর্যায়ে যেসব ইউএনওর বর্তমান কর্মস্থলে দায়িত্ব পালনের মেয়াদ এক বছরের বেশি হয়ে গেছে, তাদের অন্য জেলায় বদলির প্রস্তাব ইসিতে পাঠানো প্রয়োজন।
ইসি ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী, মনোনয়নপত্র বাছাই চলে ৪ ডিসেম্বর পর্যন্ত। রিটার্নিং কর্মকর্তার সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে কমিশনে আপিল দায়ের ও নিষ্পত্তি ৫ থেকে ১৫ ডিসেম্বর, প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ সময় ১৭ ডিসেম্বর। রিটার্নিং কর্মকর্তারা প্রতীক বরাদ্দ করবেন ১৮ ডিসেম্বর। নির্বাচনী প্রচার চলবে ৫ জানুয়ারি সকাল ৮টা পর্যন্ত। আর ভোটগ্রহণ হবে ৭ জানুয়ারি (রোববার)।