গাজীপুরে শুটিং স্পটে উঠতি মডেলকে ধর্ষণ
সিনেমা ও নাটকে অভিনয়ের সুযোগ দেয়ার কথা বলে ঢাকা থেকে গাজীপুর সিটি কর্পোরেশনের নীলেরপাড়া এলাকার শুটিং স্পটে নিয়ে এক উঠতি মডেলকে ধর্ষণ করা হয়েছে।
শুক্রবার রাতে ওই কিশোরী মডেল বাদী হয়ে জয়দেবপুর থানায় ধর্ষক ও তার দুই সহযোগীকে আসামি করে মামলা দায়ের করে।
ধর্ষণ মামলার প্রধান আসামি গাজীপুর জেলা শহরের বিলাশপুর (বাসস্ট্যান্ডের উত্তরে) এলাকার বাসিন্দা মো. তোরাব আলীর ছেলে মো. মিজানুর রহমান শামীম (৫৩)। তার অন্য সহযোগীরা হলেন- আতিক (৩০) ও মো. মামুন (২৬)।
মামলা সূত্রে জানা গেছে, ওই কিশোরীর গ্রামের বাড়ি রাজবাড়ি জেলার পাংশা থানার বিলচতরা এলাকায়। বর্তমানে তিনি সাভার থানার ফুলবাড়ি শোভাপুর এলাকায় বোনের বাসায় থেকে মডেলিংয়ের কাজ করে।
অভিযুক্ত শামীম সিনেমা ও নাটক নির্মাণের কাজ করে। সম্প্রতি শামীম ওই মডেলকে নির্দিষ্ট সম্মানিতে তার নাটক ও সিনেমায় অভিনয়ের প্রস্তাব দেয়। তার প্রস্তাবে রাজি হয়ে ওই মডেল ঢাকা থেকে গত ৮ এপ্রিল সকাল ৯টার দিকে গাজীপুরের নীলেরপাড়ায় পরিচালকের ভাড়াকৃত শুটিং স্পটে যায়।
সেখানে অন্যান্য শিল্পীদের সঙ্গে অভিনয় শুরু করে এ উঠতি মডেল। গত ১০ এপ্রিল রাত ১০টার দিকে ওই মডেলের কক্ষে প্রবেশ করে এবং ভয়ভীতি দেখিয়ে ধর্ষণ করে শামীম।
এ সময় আতিক ও ক্যামেরাম্যান মামুন ঘরের বাইরে দরজায় পাহারা দিয়ে ধর্ষণে সহযোগিতা করে। ঘটনাটি ফাঁস করলে মডেলকে মেরে ফেলার হুমকি দিয়ে শামীম তার সিনেমায় কাজ করতে বাধ্য করে।
একইভাবে শামীম ভয়ভীতি দেখিয়ে তাকে একাধিকবার ধর্ষণ করে। সর্বশেষ ২৩ এপ্রিল শামীম মডেলকে ধর্ষণ করে। পরে ওই মডেল কৌশলে ওই স্পট থেকে বের হয়ে স্থানীয় লোকজনকে বিষয়টি জানায়।
এ ঘটনার পর কিশোরী শারীরিক ও মানসিকভাবে অসুস্থ হয়ে পড়ে। পরে বিষয়টি অভিভাবকদের সঙ্গে আলোচনা করে। এ জন্য মামলা করতে বিলম্ব হয়েছে বলে মামলায় উল্লেখ করে। তবে শামীম কোন প্রতিষ্ঠান থেকে নাটক বা সিনেমা বানাচ্ছে তা উল্লেখ করেনি এই উঠতি মডেল।
জয়দেবপুর থানা পুলিশের ওসি মো. আমিনুল ইসলাম জানান, আজ শনিবার (২৮ এপ্রিল) ওই কিশোরী মডেলকে স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। আসামিদের কাউকে এখনও গ্রেফতার করা সম্ভব হয়নি। তবে গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।