পরিচ্ছন্ন রাজনীতিবিদ সালাম-নোমানের আসনে জাপার ভাগ!

প্রকাশিত: ডিসেম্বর ১৮, ২০২৩; সময়: ১১:৩৩ পূর্বাহ্ণ |

আবদুস সালাম। চট্টগ্রাম উত্তর জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি। সজ্জন ও পরিচ্ছন্ন রাজনীতিবিদ হিসেবে পুরো চট্টগ্রামে তিনি পরিচিত। নিজ জন্মভূমি হাটহাজারীর প্রতিটি ইউনিয়নে রয়েছে তার বিশাল কর্মী বাহিনী। উপজেলা আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগ থেকে শুরু করে ইউনিয়ন কমিটিগুলোও তার কর্মী দিয়ে গঠিত। শূধু তাই নয় ১৪ ইউনিয়নের মধ্যে সিংহভাগ ইউপি চেয়ারম্যানও তার অনুসারী। দীর্ঘদিন ধরে অবহেলিত হাটহাজারীতে এবার নৌকার মনোনয়ন পেয়েছিলেন এম এ সালাম।

কিন্তু বিধিবাম, সেখানে এসে আবার থাবা মারলো জাতীয় পার্টির কো চেয়ারম্যান আনিসুল ইসলাম মাহমুদ। হাটহাজারীতে আওয়ামী লীগের সিংহভাগ নেতার সঙ্গে আনিসুল ইসলাম মাহমুদের দূরত্ব রয়েছে। এছাড়া হাটহাজারীতে জাতীয় পার্টির কোনো সাংগঠনিক ভিত্তি নেই। ফলে দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে জয় ছিনিয়ে আনতে কষ্ট হবে আনিসের। কারণ িএখানে প্রার্থী হিসেবে আছেন নতুন দল প্রগতিশীল গণতান্ত্রিক ফোরামের সভাপতি ও সাবেক বিএনপি নেতা চাকসু ভিপি নাজিম উদ্দিন।

হাটহাজারীর উপজেলা আওয়ামী লীগের একাধিক নেতা চট্টগ্রাম লাইভকে জানান, গত ১৫ বছর আওয়ামী লীগের উপর ভর করে এমপি মন্ত্রী হলেও ব্যারিস্টার আনিস আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের বিপদে আপদে পাশে ছিল না। উল্টো বিএনপি জামায়াত নেতাকর্মীদের শেল্টার দিয়েছেন। শুধু তাই নয় আওয়ামী লীগে গ্রুপ সৃষ্টি করার জন্য একটি অংশকে সুযোগ দিয়েছেন, পেট্রোনাইজ করেছেন। তাদেরকে দিয়ে এম এ সালামের বিরুদ্ধে মাঠে কাজ করিয়েছেন।

তিনি বলেন, আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে সারাদেশে উন্নয়ন হয়েছে। কিন্তু হাটহাজারীতে কি হয়েছে আপনি বলতে পারবেন? কিছু হয়নি। তাহলে তিনি কিভাবে নির্বাচনী বৈতরণী পাড় করবেন।

এ নিয়ে ক্ষোভ রয়েছে পুরো হাটহাজারীতে। তাই ব্যারিস্টার আনিসের জন্য সামনের দিনগুলো সুখকর নয় বলে মত প্রকাশ করেছেন সংশ্লিষ্টরা।

নোমান আল মাহমুদ
নোমান আল মাহমুদ চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক। তৃণমূল থেকে বেড়ে উঠা একজন কর্মী। ছাত্রলীগ, যুবলীগ করে এখন নেতৃত্ব দিচ্ছেন আওয়ামী লীগের। এম এ সালামের মতো পরিচ্ছন্ন এবং সরল মনের মানুষ হিসেবে পরিচিত নোমান আল মাহমুদ। কেউ বলতে পারবে না নোমান আল মাহমুদ কাউকে কোনোদিন বড় গলায় কথা বলেছেন।

চট্টগ্রাম-৮ আসনে মোছলেম উদ্দিন আহমেদের মৃত্যুর পর উপ নির্বাচনে জয়ী হন নোমান আল মাহমুদ। নির্বাচনে জয়ী হওয়ার পর জনতার এমপি হওয়ার জন্য যা প্রয়োজন তা করেছেন অল্প সময়ে। বোয়ালখালী ও চান্দগাঁও এর মানুষ তাকে সব সময় পেয়েছে। সামান্য সময়ে বোয়ালখালীর অনেক উন্নয়ন করেছেন তিনি। ফলে সাধারণ মানুষের মন জয় করে নিয়েছিলেন নোমান। ফলে তাকে আবার মনোনয়ন দিয়েছিল আওয়ামী লীগ।

কিন্তু সেখানেও ভাগ বসিয়েছে জাতীয় পার্টি। জোটের অংশ হিসেবে চট্টগ্রাম-৮ আসন জাতীয় পার্টির ্জন্য ছেড়ে দিয়েছে আওয়ামী লীগ। সেখানে নির্বাজন করবেন জাতীয় পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য সোলালমান আলম শেঠ।

কথা হচ্ছে এখানেও জাতীয় পার্টির কোনো সাংগঠনিক ভিত্তি নেই। এছাড়া সেখানে আওয়ামী লীগের একজন স্বতন্ত্র প্রার্থী রয়েছে আবদুচ ছালাম। যিনি বলা যায় এই আসনে শক্তিশালী প্রার্থী। তার কাছ থেকে দুর্বল জাপার পার্টি কিভাবে জিতবে সেটি এখন প্রশ্ন?

যদি নোমান আল মাহমুদ নির্বাচন করতো তবে আওয়ামী লীগ অনায়সে জিততে পারতো বলে মত দিয়েছেন অনেকে। কারণ মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক তার পক্ষে ছিল।

ডিজাইন ও কারিগরি: চট্টগ্রাম লাইভ
উপরে