পর্যটকদের জন্য উন্মুক্ত হলো সুন্দরবন
নিষেধাজ্ঞা উঠে গেল। ফলে ১ সেপ্টেম্বর (শুক্রবার থেকে পর্যটকদের জন্য উন্মুক্ত হলো সুন্দরবন। ৯২ দিন বন্ধ রাখার পর বিশ্বের বৃহত্তম এই ম্যানগ্রোভ পর্যটকদের জন্য খূলে দেওয়া হলো।
নিষেধাজ্ঞা উঠে যাওয়ার পর সুন্দরবনের করমজল, কটকা, কচিখালী, হারবাড়িয়া, হিরণ পয়েন্ট, দুবলার চর ও নীলকমলসহ সমুদ্র তীরবর্তী এবং বনাঞ্চলের বিভিন্ন স্থানে লঞ্চ, ট্যুরবোট, ট্রলার ও বিভিন্ন নৌযানে ঘুরতে যাচ্ছেন দেশি-বিদেশি দর্শনার্থীরা। বনের ওপর নির্ভরশীল জেলে, ট্যুর অপারেটর, লঞ্চ ও বোটচালকরা আগেভাগেই প্রস্তুতি নিয়ে রেখেছেন সুন্দরবনে প্রবেশের জন্য। ট্যুর ব্যবসায়ী ও বন বিভাগের প্রত্যাশা বৃষ্টিপাত কমে যাওয়া ও দীর্ঘদিন নিষেধাজ্ঞার পর অসংখ্য পর্যটক প্রতিদিন ভিড় করবেন সুন্দরবনে।
বিভাগীয় বন কর্মকর্তা (ডিএফও) মুহাম্মদ বেলায়েত হোসেন জানান, ১ জুন থেকে ৩১ আগস্ট পর্যন্ত তিন মাস সুন্দরবনের সব নদ-নদী ও খালে মাছ ধরা নিষিদ্ধ করেছিল বন বিভাগ। মাছের প্রজনন মৌসুম হওয়ায় তিন মাস সব ধরনের মাছ আহরণ বন্ধের পাশাপশি সুন্দরবনে পর্যটকদের প্রবেশও নিষিদ্ধ করা হয়।
এদিকে সুন্দরবন করমজল বন্যপ্রাণী প্রজনন কেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা হাওলাদার আজাদ কবির জানান, সরকারি বিভিন্ন বরাদ্দে সুন্দরবনকে ঘিরে পর্যটন খাতের উন্নয়নে নানা প্রকল্প বাস্তবায়ন হচ্ছে। এরই অংশ হিসেবে করমজল স্পটে এক কিলোমিটার ফুটটেইল নতুন করে নির্মাণ করা হয়েছে। এছাড়া একটি জুলন্ত ব্রিজ ও একটি আরসিসি ব্রিজ নির্মাণ করা হয়েছে। একই সাথে পর্যটকরা বনের সবতথ্য জানার জন্য করমজলে নির্মাণ করা হয়েছে ইনফরমেশন সেন্টার। আমরা আশা করছি, তিন মাস বন্ধ থাকার পর করমজলে পর্যটকের ভিড় বাড়বে। তাই আমরা বন বিভাগে দায়িত্বরত সবাই বনের স্পটগুলোকে ঢেলে সাজানোর পাশাপাশি নানা প্রস্তুতি নিয়েছি।