প্রথম পাতাল রেলের কাজ শুরু জুলাইয়ে
দেশের প্রথম পাতাল রেলের কাজ শুরু হবে জুলাই মাসে। আর ভূমি উন্নয়নে মোট ব্যয় ধরা হয়েছে এক হাজার ১৪৯ কোটি টাকা। আন্তর্জাতিক এ চুক্তি সংক্রান্ত নানা কাজ ও আনুষ্ঠানিকতা শেষ করে দুই মাস পর অর্থাৎ জুলাই মাসে শুরু হবে ভূমি উন্নয়ন কাজ। এ চুক্তির অধীনে মোট ৯৯ দশমিক ২৫ একর ভূমি উন্নয়ন করা হবে।
পাতাল ও উড়াল রুটের সমন্বয়ে লাইনটির দৈর্ঘ্য হবে ২০ কিলোমিটার। এর মধ্যে ১৩ দশমিক ৫০ কিলোমিটার পাতাল ও ৬ দশমিক ৫০ কিলোমিটার হবে উড়াল রুট। প্রকল্পটির কাজ ২০২৮ সালের মধ্যে শেষ করার পরিকল্পনা সরকারের। এর নির্মাণব্যয় ধরা হয়েছে ৪১ হাজার ২৩৮ কোটি টাকা। এ প্রকল্পে ঋণ সহায়তা দিচ্ছে জাইকা।
মঙ্গলবার (২৩ মে) রাজধানীর উত্তরায় ডিএমটিসিএল ভবনে ঢাকা ম্যাস ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেড, টিওএ করপোরেশন (জাপান) এবং স্পেকট্রা ইঞ্জিনিয়ার্স লিমিটেডের (বাংলাদেশ) মধ্যে এই চুক্তি সই হয়।
ঢাকা ম্যাস ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেড (ডিএমটিসিএল) জানিয়েছে, হেমায়েতপুর থেকে ভাটারা পর্যন্ত ২০ কিলোমিটার রুটে ২০২৮ সালের মধ্যে যাত্রী পরিবহন সেবা দিতে চায় ডিএমটিসিএল। গাবতলী, মিরপুর-১০, কচুক্ষেত, বনানী, নতুনবাজার সড়কের নিচ দিয়ে যাবে রুটের একটি অংশ। এছাড়া হেমায়েতপুর থেকে আমিনবাজার এবং নতুনবাজার থেকে ভাটারা অংশ তৈরি করা হবে সড়কের ওপর দিয়ে। পাতাল ও উড়াল দুইটার সমন্বয়ে হেমায়েতপুর থেকে ভাটারা পর্যন্ত এই রুটে চলাচল করবে মেট্রোরেল। ২০ কিলোমিটার এ দূরত্ব পাড়ি দেবে ৩২ মিনিটে। দৈনিক ১২ লাখ ৩০ হাজার যাত্রী পরিবহন করতে পারবে। এমআরটি-৫ এর পাতাল অংশে নয়টি ও উড়াল অংশে পাঁচটিসহ মোট ১৪টি স্টেশন নির্মাণ হবে। এর মধ্যে মাটির নিচে স্টেশন থাকবে যথাক্রমে গাবতলী, দারুস সালাম, মিরপুর-১, মিরপুর-১০, মিরপুর-১৪, কচুক্ষেত, বনানী, গুলশান-২ ও নতুনবাজার।
চুক্তি সই অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের সচিব এ বি এম আমিন উল্লাহ নুরী। বিশেষ অতিথি ছিলেন বাংলাদেশে নিযুক্ত জাপানের রাষ্ট্রদূত ইওয়ামা কিমিনোরি এবং জাইকার প্রধান প্রতিনিধি ইচিগুচি তমোহিদে। এতে সভাপতিত্ব করেন ঢাকা ম্যাস ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এম এ এন সিদ্দিক। এসময় বিআরটিএ ও ডিএমটিসিলের বিভিন্ন স্তরের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।