বন্যা, তবে অক্টোবরেই উদ্বোধন হবে কক্সবাজার রেললাইন!

প্রকাশিত: আগস্ট ১১, ২০২৩; সময়: ১২:০৩ অপরাহ্ণ |

বন্যায় ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে দক্ষিণ চট্টগ্রামে। এই বন্যায় চট্টগ্রাম থেকে কক্সবাজার রেললাইনেরও ক্ষতি হয়েছে অনেক। তবে রেল কর্তৃপক্ষ বলছে, ক্ষতি হলেও পূর্বের ঘোষণা মতে অক্টোবরেই হবে উদ্বোধন।

প্রকল্প পরিচালক মফিজুর রহমান বলেন, এই ক্ষতি আমাদের উদ্বোধনের সময়সূচিতে কোনো প্রভাব ফেলবে না। ক্ষতিগ্রস্ত এলাকার কাজ এক মাসের মধ্যে শেষ করা যাবে। গত মঙ্গলবার এক রাতে স্মরণকালের সবচেয়ে বেশি বৃষ্টিপাত হওয়ায় তিন কিলোমিটার রেললাইনে পানি উঠেছে। তবে এখন পানি নেমে গেছে, চিন্তার কিছু নেই। পরিদর্শন করে দেখেছি- এর মধ্যে এক কিলোমিটারের মতো রেলসড়ক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, যা শিগগিরই আমরা ঠিক করে ফেলতে পারবো।

বৃহস্পতিবার (১০ আগস্ট) প্রকল্প পরিচালক মফিজুর রহমানের নেতৃত্বে একটি টিম তেমুহনী এলাকাসহ কক্সবাজার অঞ্চলের বিভিন্ন স্থান পরিদর্শন করেন।

ভয়াবহ বন্যায় কক্সবাজারের পথে প্রায় এক কিলোমিটার রেলসড়ক ক্ষতিগ্রস্ত হলেও তা প্রকল্প উদ্বোধনে প্রভাব ফেলবে না বলে জানিয়ে এমন মন্তব্য করেছেন প্রকল্প পরিচালক মফিজুর রহমান। তিনি বলেন, এই ক্ষতি আমাদের উদ্বোধনের সময়সূচিতে কোনো প্রভাব ফেলবে না। ক্ষতিগ্রস্ত এলাকার কাজ এক মাসের মধ্যে শেষ করা যাবে।

গত মঙ্গলবার ভারী বৃষ্টিতে পাহাড় থেকে নেমে আসা পানিতে বন্যার সৃষ্টি হয়। এতে সাতকানিয়ার তেমুহনী এলাকার প্রায় তিন কিলোমিটার রেলপথের ওপর দিয়ে পানি প্রবাহিত হয়। বৃহস্পতিবার (১০ আগস্ট) প্রকল্প পরিচালক মফিজুর রহমানের নেতৃত্বে একটি টিম তেমুহনী এলাকাসহ কক্সবাজার অঞ্চলের বিভিন্ন স্থান পরিদর্শন করেন।

মফিজুর রহমান বলেন, গত মঙ্গলবার এক রাতে স্মরণকালের সবচেয়ে বেশি বৃষ্টিপাত হওয়ায় তিন কিলোমিটার রেললাইনে পানি উঠেছে। তবে এখন পানি নেমে গেছে, চিন্তার কিছু নেই। পরিদর্শন করে দেখেছি- এর মধ্যে এক কিলোমিটারের মতো রেলসড়ক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, যা শিগগিরই আমরা ঠিক করে ফেলতে পারবো।

অতিবৃষ্টি ও পাহাড়ি ঢলের কারণে এই অঞ্চলের আশপাশে বয়ে যাওয়া শঙ্খ নদী, ডলু নদী ও হাঙর নদীতে ধারণক্ষমতার বেশি পানি প্রবাহিত হওয়ায় তীর ভেঙে লোকালয়ে প্রবেশ করেছে। এতে প্লাবিত হয়েছে সাতকানিয়া, লোহাগাড়া, চন্দনাইশ ও বাঁশখালী সহ অন্তত ৫টি উপজেলা। বন্যায় সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে সাতকানিয়া ও লোহাগাড়া উপজেলা। আকস্মিক এমন বন্যার জন্য চট্টগ্রাম-কক্সবাজার রেললাইন তৈরিকে দুষছেন স্থানীয়রা। তাদের দাবি, নবনির্মিত এই রেললাইন দক্ষিণ চট্টগ্রামের জন্য গলার কাঁটা হয়ে দাঁড়িয়েছে। রেললাইন তৈরির ফলে এই অঞ্চলের বেশ কয়েকটি উপজেলার মাঝামাঝি কৃত্রিম বাঁধের সৃষ্টি হয়েছে। এতে পানি প্রবাহে বাধা সৃষ্টি হচ্ছে।

এ নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে অনেকেই ঝড় তুলছেন। দোহাজারী থেকে কক্সবাজার পর্যন্ত ৩৯টি বড় সেতু এবং ১৪৫টি ছোট সেতু ও কালভার্ট নির্মাণ করা হয়েছে। লেভেল ক্রসিং আছে ৯৬টি। এগুলোর কারণে পানি আটকে থাকছে বলে স্থানীয়দের অভিযোগ।

প্রকল্প পরিচালক মফিজুর রহমান বলেন, প্রকল্পের পরিকল্পনায় বা বাস্তবায়ন পরিকল্পনার কোনও ত্রুটির কারণে এই ক্ষতি হয়নি। প্রকল্পটিতে ১৪৫টি সেতু ও কালভার্ট করার কথা ছিল, কিন্তু বাস্তবায়ন পর্যায়ে আমাদের প্রয়োজন মনে হওয়ায় মোট ১৭৩টি সেতু ও কালভার্ট নির্মাণ করে এই রেলসড়ক নির্মাণ করেছি।

উল্লেখ্য, দোহাজারী থেকে কক্সবাজার পর্যন্ত ১০০ দশমিক ৮৩ কিলোমিটার এই রেলপথ নির্মাণে ব্যয় হচ্ছে সাড়ে ১৫ হাজার কোটি টাকা। এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক (এডিবি) ঋণ দিচ্ছে ১১ হাজার ৪৯৯ কোটি টাকা।

ডিজাইন ও কারিগরি: চট্টগ্রাম লাইভ
উপরে