কাতার বিশ্বকাপে ‘মেইড ইন বাংলাদেশ’

প্রকাশিত: ফেব্রুয়ারি ২৫, ২০২২; সময়: ১২:০৫ পূর্বাহ্ণ |

এ বছর কাতারে অনুষ্ঠিত হবে ফুটবল বিশ্বকাপ। আর কাতার বিশ্বকাপের জন্য ৬ লাখ পিস ফিফার অফিশিয়াল টি-শার্ট তৈরি হলো চট্টগ্রামের একটি পোশাক কারখানায়। দুই দফায় ৩ লাখ পিস করে জাহাজে পাঠানো হচ্ছে রাশিয়ায়।

যার রফতানিমূল্য প্রায় ১৫ লাখ মার্কিন ডলার বা ১৩ কোটি টাকা। প্রতিষ্ঠানটি এর আগে ২০১৮ সালের রাশিয়া বিশ্বকাপ ও ২০২০ সালের ইউরো কাপের টি-শার্ট, জ্যাকেটও তৈরি করেছিল। তাদের প্রত্যাশা বিশ্বকাপে অংশগ্রহণকারী দলগুলোর জার্সি তৈরি করা।
নগরের বন্দর থানাধীন গোসাইলডাঙ্গার বারিক মিঞা হাইস্কুলের পাশের সনেট টেক্সটাইল ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড নামের কারখানায় ফিফার জন্য বিশ্বমানের এসব টি-শার্ট তৈরি হয়েছে।

অর্ডার নেওয়ার পর থেকে নিখুঁতভাবে এসব টি-শার্ট নির্দিষ্ট সময়ে শিপিংয়ের জন্য রীতিমতো যুদ্ধ করেছে প্রতিষ্ঠানটির শ্রমিক, কর্মকর্তা ও উদ্যোক্তারা। বয়’স, ম্যানস ও উইম্যানস ক্যাটাগরির ৬টি ডিজাইনে যত্নের সঙ্গে টি-শার্টগুলো তৈরির পর একাধিক টিম মান যাচাই করেছে। যাবে ‘মেড ইন বাংলাদেশ’র ভাবমূর্তি বৃদ্ধি পায়।

সনেট টেক্সটাইলের পরিচালক গাজী মো. শহীদুল্লাহ জানান, ৬টি ডিজাইনে ৬ লাখ পিসের অর্ডার পাওয়ার পর আমরা কার্যক্রম শুরু করি। ডিজাইন অ্যাপ্রুভ, মেটারিয়ালস অ্যাপ্রুভ করা হয়। এটি বিশ্বমানের প্রডাক্ট, এর শতভাগ কোয়ালিটি মেনটেইন করতে হয়। এর সব রাইটস ফিফার।

বিকেএমইএর পরিচালক গাজী মো. শহীদুল্লাহ বলেন, এর আগেও আমাদের প্রতিষ্ঠান থেকে রাশিয়া বিশ্বকাপ ও ইউরো কাপের টি-শার্ট রফতানি করেছিলাম। আমরা নিয়মিত পোশাক রফতানি করি। বিশ্বের বড় একটি ইভেন্টের টি-শার্ট তৈরি করতে পেরে আমরা আনন্দিত।

সনেট টেক্সটাইলের কর্মকর্তারা জানান, ২০১৮ সালে ফিফার টি-শার্ট, জ্যাকেট তৈরির জন্য কোয়ালিটি, কমিটমেন্ট ফুল-ফিল করেছে সনেট টেক্সটাইল। এর সঙ্গে বাংলাদেশের ভাবমূর্তি জড়িত। তাই যত্নের সঙ্গে এসব টি-শার্ট তৈরি হয়েছে। গত ফেব্রুয়ারিতে কাতার বিশ্বকাপের টি-শার্ট তৈরির জার্নি শুরু হয়। দুই সপ্তাহে ৩ লাখ পিস তৈরি করে রাশিয়ায় শিপিং করতে সক্ষম হয় প্রতিষ্ঠানটি। বাতি ৩ লাখ পিস টি-শার্টও তৈরি হয়ে এখন রাশিয়ায় কার্যাদেশ দেওয়া প্রতিষ্ঠানের কাছে পৌঁছানোর অপেক্ষায়।

চট্টগ্রামভিত্তিক সনেট টেক্সটাইলের ‘সনেট ফ্যাশনস লিমিটেড’ রয়েছে কালুরঘাট ও মোহরায়, সনেট প্রিন্টিং অ্যান্ড প্যাকেজিং লিমিটেড রয়েছে বন্দর থানার ফকিরহাট এলাকায়।

ডিজাইন ও কারিগরি: চট্টগ্রাম লাইভ
উপরে