প্রধানমন্ত্রীকে হত্যার মিশনে নেমেছে বিএনপি : ওবায়দুল কাদের
বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে হত্যার মিশনে মাঠে নেমেছে বিএনপি। প্রকাশ্য দিবালোকে রাজশাহীর পুঠিয়ায় জেলা আহ্বায়কের হত্যার হুমকি দেওয়ার দুইদিন চলে গেল। মির্জা ফখরুল একটা কথাও বললেন না, বিএনপির কোনো সিনিয়র নেতা একটা কোথাও বললেন না। সবাই নীরব হয়ে আছেন, এটা তার (চাঁদ) এক দফা নয়, এটা বিএনপির এক দফা।
মঙ্গলবার (২৩ মে) বিকেলে বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে আওয়ামী লীগের দলীয় কার্যালয়ের সামনে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের উদ্যোগে শেখ হাসিনাকে হত্যার হুমকির প্রতিবাদে আয়োজিত সমাবেশ ও বিক্ষোভ মিছিলে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ মন্তব্য করেন।
সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সভাপতি আবু আহমেদ মান্নাফী। সঞ্চালনা করেন ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মো হুমায়ুন কবির।
ওবায়দুল কাদের বলেন, দেশে ঝড় বয়ে গেছে, সারাদেশ গর্জন করে উঠেছে। শেখ হাসিনাকে কটূক্তি, হত্যার হুমকি দেওয়ায় বাংলাদেশের মানুষ অবাক হলো। শেখ হাসিনাকে হত্যার মিশন নিয়ে তারা (বিএনপি) মাঠে নেমেছে। তাদের এক দফা শেখ হাসিনাকে হত্যা করা। শেখ হাসিনার জনপ্রিয়তাই আজকে তার একমাত্র শত্রু।
তিনি বলেন, ফখরুল সাহেব, আমাদের পার্টির কোনো জেলার নেতা যদি খালেদা জিয়াকে হত্যা করার হুমকি দিতেন, তাহলে আপনারা কী করতেন? কী জবাব দিতেন, আমি জানতে চাই। গত চব্বিশ ঘণ্টায় সারাদেশের মানুষ বুঝিয়েছে, পঁচাত্তর আর ২০২৩ এক নয়। বিএনপির উপলব্ধি করা উচিত, রাজশাহীর এক নেতা হুমকি দেওয়ায় সারাদেশ গর্জন করে উঠেছে। শেখ হাসিনার ওপর হামলা করলে আওয়ামী লীগ কর্মীরা চুপ করে বসে থাকবে না।
তিনি আরও বলেন, সামনে নির্বাচন। তারা নির্বাচন চায় না। তারা চায় সংঘাত, অস্থিরতা, অশান্তি, রক্তপাত। আমরা চাই নির্বাচন- বাংলাদেশের জনকণ্ঠকে প্রাতিষ্ঠানিক রূপ দিতে। আমরা নির্বাচন কমিশনের পরিচালনায় সুষ্ঠু নিরপেক্ষ নির্বাচন চাই। আমরা কারো সঙ্গে সংঘাত-পাল্টা সংঘাতে যাবো না। আমরা রাজনৈতিকভাবে মোকাবিলা করবো এই অপশক্তিকে। এই অপশক্তিকে বাংলার জনগণ থেকে বিচ্ছিন্ন করে ফেলতে হবে।
আওয়ামী লীগ কোনো সংঘাতে যাবে না উল্লেখ করে ওবায়দুল কাদের বলেন, কাতারের উদ্দেশে রওনা দেওয়ার আগে নেত্রী বলে গেছেন কোনো সংঘাতে যাওয়া যাবে না। আমরা সংঘাতে যাব না, কিন্তু সংঘাত কেউ করতে আসলে আমরা চুপ করে বসে থাকব? আমাদের ওপর যদি কেউ হামলা চালায়, তাহলে আমরা হামলা চালাব না? হামলা করলে তার সমুচিত জবাব কীভাবে দিতে হয় তা আওয়ামী লীগ জানে।
নেতাকর্মীদের উদ্দেশে তিনি বলেন, কথায় কথায় আপনারা মাথা গরম করবেন না। ঠান্ডা মাথায় এই অপশক্তিকে বাংলাদেশের জনগণ রাজনীতি থেকে বিচ্ছিন্ন করবে। যদি কেউ নির্বাচন প্রতিরোধ করতে আসে, আমরা সর্বশক্তি দিয়ে, জনগণকে নিয়ে প্রতিরোধ করব।
বাংলাদেশের নির্বাচনের দিকে সারা বিশ্ব তাকিয়ে আছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, আমি সরকারি দলের সেক্রেটারি বলছি, দুই দিন পর সিটি কর্পোরেশন নির্বাচন, এই নির্বাচন শান্তিপূর্ণ হবে। এই নির্বাচনে সরকারি দল নিরপেক্ষ নির্বাচন অনুষ্ঠানে কোনো প্রকার হস্তক্ষেপ করবে না। গাজীপুর সিটি নির্বাচনসহ সব সিটি নির্বাচন এবং আগামীতে জাতীয় নির্বাচন ফ্রি অ্যান্ড ফেয়ার হবে। আমরা বিদেশিদের অনুরোধ করব, আপনারা আসুন এবং দেখুন শেখ হাসিনার নেতৃত্বে কীভাবে ফ্রি অ্যান্ড ফেয়ার ইলেকশন হয়।