মৈত্রী দিবস/ বাংলাদেশের জনগণকে নিয়ে একসঙ্গে হাঁটতে ভারত সবসময় প্রস্তুত

প্রকাশিত: ডিসেম্বর ৬, ২০২২; সময়: ৯:১৫ অপরাহ্ণ |

ঢাকায় নিযুক্ত ভারতীয় হাই কমিশনার প্রণয় ভার্মা বলেছেন,বাংলাদেশের জনগণকে নিয়ে একসঙ্গে হাঁটতে ভারত সবসময় প্রস্তুত। আর বাংলাদেশের সঙ্গে মৈত্রীর ক্ষেত্রে ভারত সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দিয়ে থাকে।

মঙ্গলবার (৬ ডিসেম্বর) ঢাকাস্থ ভারতীয় হাইকমিশনের উদ্যোগে আয়োজিত মৈত্রী দিবসের ৫১তম বার্ষিকী উদযাপন অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।

ভারতীয় হাই কমিশনার বিগত ৫০ বছরে উভয় দেশেরই গুরুত্বপূর্ণ অর্জন রয়েছে উল্লেখ করে তিনি দেশ দুটির ভবিষ্যৎ প্রজন্ম কর্তৃক ১৯৭১ সালের ইতিহাস অনুধাবন করা ও সেই ঐতিহ্যের ধারা অক্ষুণ্ণ রাখার ওপর গুরুত্বারোপ করেন।

১৯৭১ সালের এই দিনে বাংলাদেশের স্বাধীনতার ১০ দিন আগে ভারত একটি স্বাধীন ও সার্বভৌম রাষ্ট্র হিসেবে বাংলাদেশকে স্বীকৃতি দেয়। মুক্তিযুদ্ধকালীন বাংলাদেশের ১ কোটি শরণার্থীদের স্থান দিয়েছিল ভারত সরকার। তাছাড়া মুক্তিযোদ্ধাদের প্রশিক্ষণ,যুদ্ধে অস্ত্র দিয়ে সহযোগিতা, মিত্র বাহিনীর অপরারেশন, আন্তর্জাতিক সমর্থনসহ সব বিষয়ে একমাত্র সহযোগিতা করেছিল ভারত। তাই বাংলাদেশের কাছে ভারতের চেয়ে বড় মিত্র আর কেউ নেই।

গত বছরের মার্চ মাসে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর ঢাকা সফরকালে তিনি এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কর্তৃক ৬ ডিসেম্বরকে মৈত্রী দিবস হিসেবে পালন করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।

অনুষ্ঠানে ভারতীয় হাই কমিশনার বাংলাদেশ-ভারত অংশীদারত্বের বিগত ৫১ বছরের অর্জনসমূহ এবং ভবিষ্যতের প্রতিশ্রুতি প্রতিফলিত করার সুযোগ হিসেবে দিবসটির তাৎপর্য তুলে ধরেন।

তিনি উভয় দেশের বন্ধুত্বকে ১৯৭১ সালের যৌথ আত্মত্যাগের মূলে নিহিত এবং ইতিহাস, ভাষা ও সংস্কৃতির দৃঢ় বন্ধনে লালিত বলে বর্ণনা করেন।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী আ. ক. ম. মোজাম্মেল হক। এছাড়া অসংখ্য মুক্তিযোদ্ধার পাশাপাশি বাংলাদেশ সরকারের জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা, ব্যবসায়ী ও শিল্প নেতৃত্ব, গণমাধ্যমকর্মী, শিক্ষাবিদ ও সুশীল সমাজের প্রতিনিধিরা অনুষ্ঠানে যোগ দেন।

ডিজাইন ও কারিগরি: চট্টগ্রাম লাইভ
উপরে