বাংলাদেশ-ভারত নিকটবর্তী এবং দায়িত্বশীল প্রতিবেশী : ভূমিমন্ত্রী

প্রকাশিত: জানুয়ারি ২৬, ২০২৩; সময়: ১১:৩০ অপরাহ্ণ |

বাংলাদেশ-ভারত নিকটবর্তী এবং দায়িত্বশীল প্রতিবেশী বলে মন্তব্য করেছেন ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী জাবেদ। বৃহস্পতিবার (২৬ জানুয়ারি) সন্ধ্যায় নগরের পাঁচ তারকা হোটেল রেডিসন ব্লুতে ৭৪তম ভারতীয় প্রজাতন্ত্র দিবস উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে তিনি এ মন্তব্য করেন।

ভূমিমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ-ভারত নিকটবর্তী প্রতিবেশী এবং দায়িত্বশীল প্রতিবেশী। প্রতিবেশীর এই অবস্থান কেউ সরাতে পারবে না। দুই দেশ ভাইয়ের মতো সম্পর্ক রক্ষা করে। যেমন আমাদের স্বাধীনতা যুদ্ধে সবার আগে হাত বাড়িয়েছিল ভারত। এই কারণে আমি ভারতের জনগণ, ভারত সরকার এবং ভারতীয় যেসব সৈন্য নিহত হয়েছেন তাদেরকে স্মরণ করছি এবং কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি। ১৯৭১ এর পর থেকে ভারত বাংলাদেশ সম্পর্ক ধাপে ধাপে এগিয়ে গেছে। শুধু ব্যবসা, সংস্কৃতি, শিক্ষা বা চিকিৎসাখাতে নয় দুই দেশের সম্পর্ক মানুষে মানুষে, আত্মায় আত্মায়। করোনাকালে ভ্যাকসিন দিয়ে ভারত প্রথম আমাদের পাশে দাঁড়িয়েছে। বাংলাদেশের মানুষ এই জন্য ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিজির কাছে কৃতজ্ঞ।

বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিজির মাঝে চমৎকার সম্পর্ক বিরাজমান উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, দুই প্রধানমন্ত্রীর সম্পর্ক দুই দেশের মানুষও উপভোগ করে। ভারত-বাংলাদেশের সম্পর্ক মজবুদ, যা ভাঙার নয়। এই সম্পর্ক ভবিষ্যতেও চলতে থাকবে। বাংলাদেশ ও ভারতের সংস্কৃতি, খাদ্য, পোশাসক সবকিছুতে মিল রয়েছে। কোনো পার্থক্য খোঁজে পাবে না দুই দেশের মাঝে। আমাদের সম্পর্ক উইন-উইন। ভারতের অর্থনীতি পৃথিবীতে অনেক শক্তিশালী। তারা পৃথিবীর ৫ম শক্তিশালি অর্থনীতির দেশ। বাংলাদেশও এগিয়ে চলছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ এগিয়ে চলছে। প্রতিবেশী দেশ ভারতের মতো আমরাও এগিয়ে যাচ্ছি। আমাদের অর্থনীতি ও উন্নয়ন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে এগিয়ে চলছে।

অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন চট্টগ্রামে নিযুক্ত ভারতীয় সহকারী হাইকমিশনার ডা.রাজীব রঞ্জন বলেন, আজকে ভারত-বাংলাদেশের দ্বি-পাক্ষিক সম্পর্ক যে কোনো সময়ের চেয়ে ভালো। ভারত সরকার বাংলাদেশের সঙ্গে সম্পর্ককে সব থেকে বেশি গুরুত্ব দেয়। আমাদের কাছে প্রতিবেশী প্রথমে। প্রতিবেশীদের মধ্যে বাংলাদেশ সবার আগে।

সহকারী হাই কমিশনার বলেন, ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধে বাংলাদেশের মুক্তিযোদ্ধা এবং ভারতের সেনাবাহিনী একসঙ্গে প্রাণ বিসর্জন দিয়ে দুই দেশের মধ্যে স্থায়ী বন্ধন তৈরি করে গেছেন। আজকে আমাদের বন্ধন শুধুমাত্র ট্রেড, কর্মাস, সিকিউরিটি এবং বর্ডার ম্যানেজমেন্টের মতো ট্রেডিশনাল ক্ষেত্রসমূহে সীমাবদ্ধ নয়। আমাদের বন্ধন এখন কৌশলগত সব সম্পর্কের ঊর্ধ্বে। ভারত বাংলাদেশের কমিটেড ডেভেলপমেন্ট পার্টনার। দ্বি-পাক্ষিক সম্পর্ক এগিয়ে নিতে আমাদের জয়েন্ট ইনিশিয়েটিভ প্রমাণ করে আমাদের এ সহযোগিতা দুই দেশের মানুষের অর্থনৈতিক উন্নয়নের জন্য।

অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন, চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের মেয়র এম রেজাউল করিম চৌধুরী, হুইপ সামশুল হক চৌধুরী, সংসদ সদস্য এবিএম ফজলে করিম চৌধুরী, এম এ লতিফ এমপি, বীরমুক্তিযোদ্ধা নজরুল ইসলাম এমপি, শিরিণ আখতার এমপি, আশিকুল্লাহ রফিক এমপি, খদিজাতুল আনোয়ার সনি, বরেণ্য সমাজবিজ্ঞানী ও প্রিমিয়ার বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. অনুপম সেন, চট্টগ্রাম জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান এটিএম পেয়ারুল ইসলাম, সাবেক চেয়ারম্যান এম এ সালাম, সিএমপি কমিশনার কৃষ্ণপদ রায়, চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ চেয়ারম্যান রিয়ার এডমিরাল এম শাহজাহান, চট্টগ্রাম চেম্বার সভাপতি মাহবুবুল আলম, দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মফিজুর রহমানসহ অন্যরা।

অনুষ্ঠানের শুরুতে মঙ্গল প্রতীপ প্রজ্জ্বলন করেন ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী জাবেদ,চট্টগ্রামে নিযুক্ত ভারতীয় সহকারী হাইকমিশনার ডা.রাজীব রঞ্জন ও মিসেস সুস্মিতা রঞ্জন। পরে মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়।

ডিজাইন ও কারিগরি: চট্টগ্রাম লাইভ
উপরে