মাইজভাণ্ডার দরবার শরীফ অসাম্প্রদায়িক ও মানবতার প্রতীক : ভারতীয় সহকারী হাইকমিশনার
মাইজভাণ্ডার দরবার শরীফ অসাম্প্রদায়িক ও মানবতার প্রতীক বলে মন্তব্য করেছেন ভারতীয় সহকারী হাই কমিশনার ডা.রাজীব রঞ্জন।
রবিবার (২০ নভেম্বর) দুপুরে নগরীর বহাদ্দারহাটে শাহানশাহ হযরত সৈয়দ জিয়াউল হক মাইজভাণ্ডারী ট্রাস্টের উদ্যোগে অসহায় ও দরিদ্রদের মাঝে চেক বিতরণ অনুষ্ঠানে তিনি একথা বলেন।
তিনি বলেন, ভারত ও বাংলাদেশের দুই দেশের মানুষের মাঝে আত্মার সম্পর্ক। শুধু তাই নয় সংস্কৃতি, আচার আচরণ, খাবার, খেলাধুলা এমনকি আধ্যত্মিতকায়ও গভীর মিল রয়েছে। ভারতের মাটিতে শাহসূফী খাজা মঈনুদ্দিন চিশতীর রওজা। অনেক বাংলাদেশী প্রতিবছর মাজার শরীফ জিয়ারতে যান। দুই দেশের মানুষের মাঝে যেই আত্মার সম্পর্ক তা কেউ ছিন্ন করতে পারবে না। মাইজভাণ্ডার দরবার শরীফও অসাম্প্রদায়িক চেতনা বিশ্বাস করে এবং লালন করে। শাহানশাহ হযরত সৈয়দ জিয়াউল হক মাইজভাণ্ডারী ট্রাস্টের কর্মকাণ্ড মানবতার জন্য এবং অসহায়দরে জন্য। এর মাধ্যমে প্রান্তিক পর্যায়ের মানুষ উপকৃত হচ্ছে। এই ধরণের কাজ মানুষকে অনুপ্রাণিত করবে ,যা সমাজের জন্য দৃষ্টান্ত। শিক্ষার্থীরা শিক্ষা সহায়তা পাচ্ছে, চিকিৎসার জন্য অসহায়রা অর্থ পাচ্ছে, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের উন্নয়নে অর্থ সহায়তা দিচ্ছে ট্রাস্ট। সৈয়দ জিয়াউল হক মাইজভাণ্ডারী ট্রাস্টের কাজ প্রশংসনীয় এবং অনুকরণীয়। শাহানশাহ হযরত সৈয়দ জিয়াউল হক মাইজভাণ্ডারী ট্রাস্টের এ ধরণের কাজ অব্যাহত থাকবে বলে আশা প্রকাশ করেন তিনি।
এ সময় গাউছিয়া হক মনজিলের সাজ্জাদানশীন সৈয়দ হাসান মাইজভাণ্ডারী বলেন, ভারত বাংলাদেশের পরম বন্ধু। স্বাধীনতা যুদ্ধে ভারতের অবদান ভুলার মতো নয়। দুই প্রতিবেশী আজ কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে এগিয়ে চলছে। আমরা মনেকরি দুই দেশের মানুষের মধ্যকার সম্পর্ক আরো অনেকদূর এগিয়ে যাবে।
শাহানশাহ হযরত সৈয়দ জিয়াউল হক মাইজভাণ্ডারী ট্রাস্টের ম্যানেজিং ট্রাস্টি সৈয়দ হাসান মাইজভাণ্ডারীর সভাপতিত্বে এ সময় বক্তব্য রাখেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য ড.ইফতেখার উদ্দীন চৌধুরী, চট্টগ্রাম জেলা পরিষদের সদস্য এইচ এম আলী আবরাহা দুলাল, ট্রাস্টের সচিব এ ওয়াই এম ডি জাফর, সাংবাদিবক বিপ্লব পার্থসহ অন্যরা। পরে ভারতীয় সহকারী হাইকমিশনার বিভিন্ন শ্রেণিপেশার মানুষকে চেক বিতরণ করেন।