আদর্শিক কর্মযজ্ঞ অব্যাহত রাখতে না পারলে প্রজন্ম বঙ্গবন্ধুকেই ভুলে যাবে
লিপটন দেবনাথ লিপু
বঙ্গবন্ধুকে যেদিন স্বপরিবারে হত্যা করা হয়েছিলো সেদিন সাহস করে কেউ জানাজা পড়তে যায়নি। একবার ভেবেছেন?এতটা পথ সংগ্রামের পরও কতটা অবমূল্যায়ন বা কতটা স্বার্থপর এই জাতি। যে জাতি তার জনককে হত্যা করতে পেরেছে সে জাতি আজকের দিনে আদৌ কতটুকু মেধা-মননে বঙ্গবন্ধুকে লালন করে প্রশ্নটিও এড়িয়ে যাওয়ার মতো নয়।
দেশের জন্য বঙ্গবন্ধু পরিবার যে আত্মত্যাগ করে গিয়েছে বাঙ্গালী জাতি তার সঠিক মূল্যায়ন করতে জানেনি তথাপি মূল্য এখনো দেয় নি। যদি মূল্য দিতো তাহলে দেশে আজো স্বাধীনতা বিরোধীরা ষড়যন্ত্র করতে পারতোনা, মাথা উঁচু করে কথা বলার সাহস পেতোনা, ক্ষমতায় যাওয়ার স্বপ্ন দেখতো না। বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনাকে আজো নিরাপত্তা হীনতায় ভূগতে হতোনা।
বঙ্গবন্ধুর মতো যেকোন দিন শেখ হাসিনার উপর হামলা হতে পারে কেননা বিভিন্ন স্বাধীনতা বিরোধী চক্র আজো শেখ হাসিনাকে বাবার মতো হত্যা করার হুমকি দেয়, হুমকি দেয় বেচে যাওয়ারা সহ প্রজন্মের উত্তরসূরীদের হত্যা করার। কই এই জাতি কি কখনো তাদের বিরুদ্ধে গণ আন্দোলন করতে পেরেছে? বা তাদের বাংলার মাটি থেকে তাড়াতে পেরেছে? পারেনি। উল্টো ভোট দিয়ে সংসদে প্রতিনিধিত্ব করার সুযোগ দিয়েছে।
অন্যদিকে আজকাল বঙ্গবন্ধুর নাম বিক্রি করে অসাধু কিছু মানুষ পায়দা লুটে, দূর্নীতি করে, মুখোশ পড়ে বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা স্বপ্নকে বাধাগ্রস্ত করছে। যে নেতার মৃত্যুর পরও একটি জাতি সচেতন হতে পারলোনা সে জাতি কতটুকু উন্নতি করবে সেটাও এখন বড় প্রশ্ন!
শাহেদ,পাপিয়া, হেলেনারা যেনো মুখোশ পড়ে বঙ্গবন্ধুর নাম বিক্রি করে দেশের ও দশের বারোটা বাজাতে না পারে তার জন্য নেতা নির্বাচনে দলীয় হাইকমান্ডদের আরো সচেতনতার অবহেলা কি ছিলোনা? দলের পরিক্ষিত ও ত্যাগী নেতাদের মূলধারার রাজনীতিতে না আনতে পারলে বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়া আদৌ বাস্তবায়ন হতে পারবে বলে মনে করিনা।
বঙ্গবন্ধুর রক্তের প্রতিটি কণা বাংলা মানুষের জন্য উৎসর্গঃ করে গেছেন, এই ত্যাগ সংগ্রামে রুপান্তিত করে শেখ হাসিনার হাত ধরে বাঙ্গালী জাতিকে আরো এগিয়ে যেতে হবে। প্রতিজ্ঞাবদ্ধ হতে হবে, লক্ষ্য নিয়ে এগিয়ে যেতে হবে।
মুজিব থেকে আজ আমরা সজীবের তারুণ্যের জয় জয়কার ঠিকই আদর্শিক রাজনীতির অগ্রযাত্রা থমকে গেছে কোন এক অদৃশ্য বলয়ে, আদর্শিক কর্মযজ্ঞ অব্যাহত রাখতে না পারলে কোন এক প্রজন্ম বঙ্গবন্ধুকেই ভুলে যাবে।
ঘুরে দাঁড়াতে হবে, বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন বাস্তবায়ন করতে হলে এখনই ঘুরে দাঁড়ানোর বিকল্প নেই। প্রকৃত আওয়ামী লীগের ভিষণ ও মিশন নিয়ে বঙ্গবন্ধুর হাতে গড়া ছাত্র সংগঠন বাংলাদেশ ছাত্রলীগের বিভিন্ন স্থরে আর্দশিক নেতা নির্বাচন করে তারুণ্যের অগ্রযাত্রায় নন্দিত হতে হবে। মানুষের মনে বঙ্গবন্ধুকে জাগিয়ে তুলতে হবে।
তবেই শোক’কে শক্তিতে রুপান্তর করা স্বার্থক হবে।
প্রজন্ম নির্ভেজাল ও সচ্ছ একটি রাজনৈতিক দলের আগামীর উত্তরসূরি হতে চাই ঠিকই কিন্তু আওয়ামী লীগের মতো রাজনৈতিক দলের এত অর্জন থাকার পরও পরগাছাদের উত্তাণে বিমুখ হতে পারে।
বঙ্গবন্ধুর আওয়ামী লীগে নামধারী অসাধু মানুষ গুলোকে চিহ্নিত করাই হোক এই-বারের আগষ্ট মাসের শপথ, সংগ্রাম, বিপ্লব
শোকবহ আগষ্ট, শুদ্ধ বাঙ্গালীর কান্না
শ্রদ্ধায় উন্নত ম-ম শীর, বাঙ্গালীর মহানায়ক, স্বাধীনতা সংগ্রামে আপামর জনতার স্বপ্নপূরণের দিশারি,
কালজয়ী বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান।
লেখক: ছাত্র সংগঠক, চট্টগ্রাম উত্তর জেলা ছাত্রলীগ।