আফিফ-মিরাজের জুটিতে অবিশ্বাস্য জয় বাংলাদেশের

প্রকাশিত: ফেব্রুয়ারি ২৩, ২০২২; সময়: ৭:৪৯ অপরাহ্ণ |

আফগানিস্তানের দেওয়া ২১৫ রানের টার্গেট কোনো বিষয়ই হওয়ার কথা নয় বাংলাদেশের জন্য। কিন্তু ব্যাটিং ব্যর্থতায় এই ছোট লক্ষ্যই বড় হয়ে গেল বাংলাদেশর কাছে!২৭ রানে পাঁচ উইকেট হারানোর পর সবাই ধরেই নিয়েছিল বাংলাদেশ আরেকটি লজ্জার হার বরণ করতে যাচ্ছে। তবে সেটি হতে দিলেন না দুই তরুণ আফিফ হোসেন ধ্রুব আর মেহেদি মিরাজ। ৭ম উইকেটে দুজনের অসাধারণ জুটিতে ৪ উইকেটের দারুণ জয়ে সিরিজ শুরু করল বাংলাদেশ।

ম্যাচটিতে মাত্র ৪৬ রানে ৬টি উইকেটের পতন হলেও মেহেদি হাসান মিরাজ ও আফিফ হোসেনের দুর্দান্ত পার্টনারশিপে বাংলাদেশ শেষ পর্যন্ত জয় নিয়ে মাঠ ছাড়তে সমর্থ হয়েছে। তারা দুইজন মিলে ১৭৪ রানের পার্টনারশিপ গড়ে তোলেন।

মেহেদি হাসান মিরাজ ১২০ বল খেলে ৮১ রান করেন। অন্যদিকে আফিফ হোসেন ১১৫ বল খেলে ৯৩ রান করেন।

ওয়ানডে ক্যারিয়ারে দুইজনেরই যা সর্বোচ্চ রানের ইনিংস।

ম্যাচটিতে মাত্র অষ্টম ওভারে ৫ম উইকেটের পতন হয় বাংলাদেশের। দলীয় স্কোর ২৮ রানে বিদায় নেন অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসান। সাকিব ১৫ বলে ১০ রান করতে সক্ষম হন।

এরপর ৪৬ রানের সময় ষষ্ঠ উইকেটের পতন ঘটে। ওই সময় মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ ৮ রান করে সাজঘরে ফিরেন।

তখন মনে হচ্ছিল ম্যাচটি হেরেই যাবে টাইগাররা। কিন্তু তখনই পার্টনারশিপ গড়ে তোলেন মেহেদি হাসান মিরাজ ও আফিফ হোসেন।আর এই জুটির হাত ধরেই দুর্দান্ত জয় পায় বাংলাদেশ।

এর আগে টস জিতে ব্যাটিংয়ে নেমে ৪৯.১ ওভারে ২১৫ রানে অল-আউট হয় আফগানিস্তান। বাংলাদেশি পেসারদের নিয়ন্ত্রিত বোলিং ছিল দেখার মতো। ৩৫ রানে ৩ উইকেট নিয়েছেন মুস্তাফিজুর রহমান। ২টি করে নিয়েছেন তাসকিন আহমেদ, সাকিব আল হাসান এবং শরীফুল ইসলাম। মিরাজ কোনো উইকেট না পেলেও ১০ ওভারে রান দিয়েছেন মাত্র ২৮। সমান ওভারে শরীফুল দিয়েছেন ৩৮ আর তাসকিন ৫৫ রান। আফগানদের হয়ে ৮৪ বলে সর্বোচ্চ ৬৭ রান করেন নাজিবুল্লাহ জারদান। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ৩৪ রহমত শাহর।

ডিজাইন ও কারিগরি: চট্টগ্রাম লাইভ
উপরে