ইসকনকে ‘জঙ্গি সংগঠন’ বলায় ডিজিটাল সিকিউরিটি আইনে মামলা
আন্তর্জাতিক কৃষ্ণভাবনামৃত সংঘকে (ইসকন) ‘জঙ্গি সংগঠন’ হিসেবে আখ্যায়িত করে অপপ্রচার ও মানহানির অভিযোগে নগরীর পাঁচলাইশ থানায় ডিজিটাল সিকিউরিটি আইনে মামলা দায়ের করেছে ইসকনের সন্ন্যাসী জগদার্তিহা দাস । বুধবার (১৪ জুলাই) রাতে পাঁচলাইশ থানায় দায়েরকৃত মামলায় প্রবর্তক সংঘের সাধারণ সম্পাদক তিনকড়ি চক্রবর্তী , সহ সভাপতি রনজিত কুমার দেসহ ৩/৪ জনকে অজ্ঞাত নামা আসামী করা হয়েছে।
মামলা নং-০৮, তারিখ: ১৪ জুলাই ২০২১। মামলায় ডিজিটাল সিকিউরিটি আইনের ২৫(২), ২৮(২),২৯(১),৩১(২) ও ৩৫ ধারা অন্তভুক্ত করা হয়েছে।
মামলার বিষয়ে নিশ্চিত করেছেন পাঁচলাইশ থানার ওসি জাহেদুল কবির।
ইসকনের আইনজীবী অ্যাডভোকেট শুভাশীষ শর্মা জানান, ১৯৬৬ সালে ইসকন প্রতিষ্ঠা লাভের পর থেকে অদ্যাবধি সারা বিশ্বের প্রায় ১১২টিরও অধিক দেশে প্রায় ৭৫০ টি বড় ইসকন মন্দির ছাড়াও শুধুমাত্র বাংলাদেশে প্রায় ১১০টি ইসকন মন্দির রয়েছে। ধর্ম প্রচারের পাশাপাশি ইসকন ফুড ফর লাইফ, অনাথ ও মেধাবী শিক্ষার্থীদের শিক্ষা ব্যবস্থা, ধর্মীয় শাস্ত্রের জ্ঞান প্রচার সহ বিভিন্ন মানবিক ও ধর্মীয় কার্যক্রম পরিচালনা করছে। কিন্তু গত ২৬ জুন প্রবর্তক সংঘের সাধারণ সম্পাদক তিনকড়ি চক্রবর্তীসহ অন্যান্য কর্মকর্তারা “ইসকন একটি জঙ্গি সংগঠন এবং তাহারা সাধুবেশে জঙ্গি তৎপরতা চালায়” উল্লেখ করে সংবাদ সম্মেলন করে। যা বিভিন্ন গণমাধ্যমসহ ডিজিটাল মাধ্যমে প্রচার হয়।
তিনি বলেন, আন্তর্জাতিক খ্যাতি সম্পন্ন ধর্ম প্রচারের সংগঠন ইসকনকে জঙ্গি সংগঠন আখ্যায়িত করা সহ বিভিন্ন মানহানিকর শব্দ চয়ন ও লিখিতভাবে প্রচার করে সংগঠনের ভাবমূর্তি চরমভাবে বিনষ্ট হয়েছে। যা বিভিন্ন মিডিয়ায় বহুল প্রচার ও শেয়ারের মাধ্যমে ভাইরাল হওয়ার কারণে বিশ্বের লাখো কোটি ভক্ত অনুরাগীর হৃদয়ে ও ধর্মীয় অনুভূতিতে মারাত্মক আঘাত হেনেছে।