কারাগারে অমিত মুহুরি হত্যা মামলার সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু
চট্টগ্রাম কেন্দ্রীয় কারাগারের ভেতর অমিত মুহুরি খুনের ঘটনায় দায়ের করা মামলায় সাক্ষ্য গ্রহণ শুরু হয়েছে। মঙ্গলবার (১৫ মার্চ) চট্টগ্রামের অতিরিক্ত চতুর্থ মহানগর দায়রা জজ শরীফুল আলম ভূঁঞার আদালতে এ সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু হয়। প্রথমদিনে মামলার বাদী চট্টগ্রাম কারাগারের তৎকালীন জেলার নাশির আহমেদ সাক্ষ্য দেন।
আদালতের বেঞ্চসহকারী ওমর ফুয়াদ এ তথ্য নিশ্চিত করেন। তিনি বলেন, মামলার বাদী এজাহারে যা উল্লেখ করেছেন এবং এ হত্যাকাণ্ড সম্পর্কে যতটুকু অবহিত, সে বিষয়ে আদালতকে জানিয়েছেন। পরবর্তী তারিখ আগামী ১২ মে নির্ধারণ করা হয়েছে।
এর আগে, গত ৩০ জানুয়ারি মামলায় অভিযোগ গঠনের মধ্য দিয়ে বিচার শুরুর নির্দেশ দেন আদালত।
উল্লেখ্য ২০১৯ সালের ২৯ মে রাতে চট্টগ্রাম কারাগারের ৩২ নম্বর সেলের ৬ নম্বর কক্ষে ঘুমন্ত অবস্থায় কারাবন্দি যুবলীগকর্মী অমিত মুহুরিকে ইট দিয়ে উপর্যুপরি আঘাত করে মাথা থেঁতলে দেয় আরেক বন্দি রিপন নাথ। পরে কারা হাসপাতাল হয়ে চমেক হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক অমিত মুহুরিকে মৃত ঘোষণা করেন। এ ঘটনায় কারা কর্তৃপক্ষের পক্ষ থেকে তদন্ত কমিটি গঠনের পাশাপাশি রিপন নাথের বিরুদ্ধে কোতোয়ালি থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন কারাগারের তৎকালীন জেলার নাশির আহমেদ।
দায়ের করা মামলার এজাহারে বলা হয়, ‘চট্টগ্রাম কারাগারের ১৫১৬৯/১৭ সিরিয়ালের হাজতি অমিত মুহুরি ও ৭১৩২/১৯ সিরিয়ালের হাজতি রিপন নাথ একই কক্ষে ছিলেন। এ সময় পাশেই দায়িত্ব পালন করছিলেন কারারক্ষী মো. শাহ পরান। শব্দ শুনে তিনি ৬ নম্বর কক্ষে গিয়ে দেখতে পান রাত ১০ টার দিকে রিপন নাথ অমিত মুহুরির মাথায় একটি অর্ধ ভাঙা ইট দিয়ে আঘাত করছেন। পরে তিনিসহ কয়েকজন কারারক্ষী সেল কক্ষের তালা খুলে অমিত মুহুরিকে উদ্ধার করেন।’
অভিযোগপত্রে আরও বলা হয়, ‘ঘুমানোর আগে রিপন নাথকে সিগারেট খেতে বারণ করে এবং পায়ের কাছে ঘুমাতে বলে অমিত মুহুরি। এ নিয়ে তাদের মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়। এ কারণে রিপন নাথ ক্ষিপ্ত হয়ে ইটের আঘাতে অমিতকে হত্যা করে।’