জিয়া ও বিএনপি বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ড ট্রাজেডির মূল রূপকার: আ জ ম নাছির
সাবেক সিটি মেয়র ও চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আ জ ম নাছির উদ্দীন বলেন, জিয়াউর রহমান এবং বিএনপি জাতির জনক বঙ্গবন্ধুর হত্যাকাণ্ড ট্রাজেডির মূল রূপকার। এতেই ক্ষ্যান্ত নয়,এখন বিএনপি আবারও মুক্তিযুদ্ধের পরাজিত শক্তির এজেন্ডা বাস্তবায়ন করতে চায়।
শনিবার (৪ জুন) বিকেলে জেলা পরিষদ চত্ত্বরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রাণনাশের হুমকির প্রতিবাদে কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে আয়োজিত প্রতিবাদ সমাবেশে তিনি এ কথা বলেন।
আ জ ম নাছির বলেন, বিএনপি’র জন্ম ক্যান্টমেন্ট থেকে।তারা হত্যার রাজনীতি চায়, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ১৯ বার হত্যা প্রচেষ্টায় ব্যর্থ হয়ে এবার আবার ডাক দিয়েছে ‘৭৫ এর হাতিয়ার গর্জে উঠুক আরেকবার’। কিন্তু এর বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াতে হবে।
এখনই চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত গ্রহণ করার সময় এসেছে। বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনার কাছ থেকে একটি মাত্র হুকুমের অপেক্ষা।
তিনি আরও বলেন, বিএনপি দেশকে ধ্বংসের দিকে ঠেলে দিচ্ছে। তারা গণতন্ত্র, স্বাধীনতা ও মুক্তিযুদ্ধ এসবের সঙ্গে নেই। তাদের একমাত্র উদ্দেশ্য এই দেশকে পাকিস্তান বানানো। তাদেরকে নিশ্চিহ্ন করা ছাড়া আমাদের রক্ষা নেই।
সংগঠনের ঐক্যবদ্ধ শক্তির ওপর গুরুত্বারোপ করে মহানগর আ.লীগের এ সাধারণ সম্পাদক বলেন, চারদিকে ষড়যন্ত্র হচ্ছে। আমরা যদি ঐক্যবকদ্ধ থাকি কোনো ষড়যন্ত্রই আমাদেরকে রুখতে পারবে না। এই চট্টগ্রাম এম এ আজিজ, জহুর আহমদ চৌধুরী, এম এ হান্নান, এম এ মান্নান, আখতারুজ্জামান চৌধুরী বাবু, এ বি এম মহিউদ্দিন চৌধুরীর ঘাঁটি। এই মাটিতে কোনো মীরজাফর, স্বাধীনতা বিরোধীদের স্থান নেই। আগামী নির্বাচনকে সামনে রেখে নৌকার বিজয় ছাড়া আর কোন বিকল্প নেই।
প্রতিবাদ সমাবেশে সভাপতির বক্তব্যে মহানগর আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মাহতাব উদ্দিন চৌধুরী বলেন, আওয়ামী লীগ হত্যার রাজনীতিতে বিশ্বাসী নয়। কিন্তু হত্যার মাধ্যমে বিএনপি ক্ষমতা দীর্ঘায়িত করেছে। তারা এখনও হত্যার হুমকি দিচ্ছে। তবে আমরা সেই পথে যেতে চাই না। শেখ হাসিনা যেভাবে আমাদের নির্দেশ দেবেন সেইভাবে চলবো। আমরা একটি শক্তিশালী বিরোধী দল চাই। কিন্তু ক্যান্টমেন্টে জন্ম নেওয়া পাপবিদ্ধ কোনো দলকে আমরা এই বাংলার মাটিতে চাই না।
মহানগর আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মাহতাব উদ্দিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে এবং সাংগঠনিক সম্পাদক চৌধুরী হাছান মাহমুদ হাসনির সঞ্চালনায় প্রতিবাদ সমাবেশে আরও বক্তব্য রাখেন মহানগর আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি নঈম উদ্দিন চৌধুরী, অ্যাডভোকেট ইব্রাহিম হোসেন চৌধুরী বাবুল, উপদেষ্টা সফর আলী, ত্রাণ ও সমাজ কল্যাণ সম্পাদক মোহাম্মদ হোসেন, শ্রম সম্পাদক আব্দুল আহাদ, নির্বাহী সদস্য জাফর আলম চৌধুরী, ফিরোজ আহমেদ, হারুন অর রশীদ, চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী যুবলীগের সাবেক আহ্বায়ক মহিউদ্দিন বাচ্চু, ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের নুর মোহাম্মদ নুরু, মো. ইকবাল হাসান প্রমুখ।
এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা শেখ মো. ইসহাক, মুক্তিযোদ্ধা এনামুল হক চৌধুরী, অর্থ সম্পাদক আব্দুচ ছালাম, সাংগঠনিক সম্পাদক নোমান আল মাহমুদ, শফিক আদনান, সম্পাদক মন্ডলীর সদস্য আলাহজ্ব শফিকুল ইসলাম ফারুক, হাসান মোহাম্মদ শমশের অ্যাডভোকেট শেখ ইফতেখার সাইমুল চৌধুরী, চন্দন ধর, মশিউর রহমান চৌধুরী, হাজী জহুর আহমদ, মাহাবুবুল হক মিয়া, জুবায়েরা নার্গিস খান, জালাল উদ্দিন ইকবাল, দিদারুল আলম চৌধুরী, আবু তাহের, শহীদুল আলম, জহর লাল হাজারী, কার্যনির্বাহী সদস্য নুরুল আবছার মিয়া, সৈয়দ আমিনুল হক, কামরুল হাসান বুলু, মোহব্বত আলী খান, নজরুল ইসলাম বাহাদুর, আবদুল লতিফ টিপু, ড. নেছার উদ্দিন আহমেদ মঞ্জু, রোটারিয়ান মো. ইলিয়াছ, হাজী বেলাল আহমেদ, মোরশেদ আকতার চৌধুরী প্রমুখ।