তিস্তা চুক্তির বিষয়ে আশ্বাস দিয়েছে ভারত

প্রকাশিত: আগস্ট ২৫, ২০২২; সময়: ১০:৩৫ অপরাহ্ণ |

তিস্তা পানি বণ্টন চুক্তি দ্রুত শেষ করার জন্য বাংলাদেশের পক্ষ থেকে ভারতকে অনুরোধ করা হয়েছে। ভারতের পক্ষ থেকে চুক্তিটি শেষ করতে সর্বাত্মক প্রচেষ্টার আশ্বাস দিয়েছে।

বৃহস্পতিবার (২৫ আগস্ট) নয়াদিল্লিতে বাংলাদেশ-ভারত যৌথ নদী কমিশনের-জেআরসি ৩৮তম মন্ত্রী পর্যায়ের বৈঠকে এ আশ্বাস দেওয়া হয়।

পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানায়, বাংলাদেশ-ভারত যৌথ নদী কমিশনের ৩৮তম সভা ভারতের নয়াদিল্লিতে নিজ নিজ দেশের পানিসম্পদ মন্ত্রীদের নেতৃত্বে অনুষ্ঠিত হয়।

বৈঠকে পানিসম্পদ প্রতিমন্ত্রী জাহেদ ফারুক, উপমন্ত্রী এ কে এম এনামুল হক শামীম ও সিনিয়র সচিব কবির বিন আনোয়ারসহ বাংলাদেশ প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব দেন।

ভারতীয় প্রতিনিধি দলের নেতৃত্বে ছিলেন জলশক্তি মন্ত্রী গজেন্দ্র সিং শেখাওয়াত, জলসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সচিব পঙ্কজ কুমার।

একটি সৌহার্দপূর্ণ ও বন্ধুত্বপূর্ণ পরিবেশে অনুষ্ঠিত জেআরসি বৈঠকে দুই দেশের অভিন্ন নদী বিশেষ করে গঙ্গা, তিস্তা, মনু, মুহুরি, খোয়াই, গোমতী, ধরলা, দুধকুমার এবং কুশিয়ারা নদী সংক্রান্ত সব সমস্যা নিয়ে আলোচনা হয়। এছাড়াও বন্যা সংক্রান্ত তথ্য আদান-প্রদান, নদীর তীর রক্ষা কাজ, সাধারণ অববাহিকা ব্যবস্থাপনা এবং ভারতীয় নদী আন্তঃসংযোগ প্রকল্প নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়।

জেআরসি বৈঠকে আরও কয়েকটি অভিন্ন নদীর অন্তর্বর্তীকালীন পানি বণ্টন চুক্তির খসড়া কাঠামো তৈরির জন্য তথ্য আদান-প্রদানের বিষয়ে সম্মত হয়েছে। কুশিয়ারা নদীর অভিন্ন অংশ থেকে বাংলাদেশ ও ভারতের পানি প্রত্যাহারের বিষয়ে সমঝোতা স্মারকে সই করার জন্য বাংলাদেশের প্রতিমন্ত্রী ভারতীয় প্রতিমন্ত্রীকে অনুরোধ করেন। ভারতীয় মন্ত্রী আশ্বস্ত করেছেন যে, বিষয়টি তাদের সক্রিয় বিবেচনাধীন রয়েছে।

উভয় পক্ষই ১৯৯৬ সালের গঙ্গা পানি বণ্টন চুক্তির অধীনে বাংলাদেশের প্রাপ্ত পানির সর্বোত্তম ব্যবহারের জন্য সম্ভাব্যতা সমীক্ষা পরিচালনা করতে সম্মত হয়েছে।

প্রসঙ্গত, দীর্ঘ ১২ বছর পর এবার জেআরসির মন্ত্রী পর্যায়ের সভা অনুষ্ঠিত হলো। জেআরসির সর্বশেষ সভা অনুষ্ঠিত হয় ২০১০ সালে। মন্ত্রী পর্যায়ের জেআরসি সভার আগে ২৩ আগস্ট সচিব পর্যায়ের বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।

ডিজাইন ও কারিগরি: চট্টগ্রাম লাইভ
উপরে