নির্বাচন নিয়ে আলোচনা হয়নি মোদি-হাসিনার বৈঠকে!
জি-২০ সম্মেলনে অংশগ্রহণ করতে এসে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে সাক্ষাত করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তবে সেই বৈঠকে নির্বাচন নিয়ে কোনো আলোচনা হয়নি।
শুক্রবার (৮ সেপ্টেম্বর) রাতে নয়াদিল্লির একটি হোটেলে সাংবাদিকদের ব্রিফিংকালে এসব কথা জানান পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ. কে. আব্দুল মোমেন।
ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, দ্বিপাক্ষিক বৈঠকে দুই নেতা রাজনৈতিক ও নিরাপত্তা সহযোগিতা, সীমান্ত ব্যবস্থাপনা, বাণিজ্য ও সংযোগ, পানিসম্পদ, বিদ্যুৎ ও জ্বালানি, উন্নয়ন সহযোগিতা, সাংস্কৃতিক এবং মানুষে মানুষে বন্ধনসহ দ্বিপাক্ষিক সহযোগিতার সার্বিক বিষয় নিয়ে আলোচনা করেন।
আওয়ামী লীগ সরকারের প্রতি দেশের জনগণের আস্থা রয়েছে উল্লেখ করে ড. মোমেন বলেন, বর্তমান সরকারের বিভিন্ন পদক্ষেপে বাংলাদেশের সাধারণ মানুষ ও ব্যবসায়ীরা খুশি। আগামী জাতীয় নির্বাচনে কেউ কারচুপির চেষ্টা করলে জনগণ প্রতিহত করবে।
তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচনের জন্য বিএনপির দাবির বিষয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, তত্ত্বাবধায়ক সরকার বাংলাদেশের সংবিধানে নেই। অতএব এটা কোনো আলোচনারও বিষয় নয়। আসন্ন সাধারণ নির্বাচন নিরপেক্ষ, বিশ্বাসযোগ্য, সুষ্ঠু ও সহিংসতামুক্ত করতে সবাইকে অঙ্গীকারবদ্ধ হতে হবে।
সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশের মানুষ ২০০১ সালের পরের খারাপ সময়ে ফিরে যেতে চায় না। যখন কি না বিএনপি-জামায়াত জোট সরকার পাঁচবার দুর্নীতিতে চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল। দেশে জঙ্গিবাদ সৃষ্টি করেছিল, সারাদেশে বোমা হামলা, ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা এবং আদালত কক্ষে বিচারকদের ওপর বোমা হামলা হয়েছিল।
তিনি জানান, ভারতের প্রধানমন্ত্রীর বাসভবনে অনুষ্ঠিত দুই প্রতিবেশী দেশের সরকারপ্রধানের মধ্যে একান্ত বৈঠকে বাংলাদেশের আসন্ন জাতীয় নির্বাচন বিষয়ে কোনো কথা উঠেছিল কি না, সেটি তার জানা নেই।
ব্রিফিংয়ে অন্যদের মধ্যে পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম, পররাষ্ট্র সচিব (সিনিয়র সচিব) মাসুদ বিন মোমেন এবং প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব ইহসানুল করিম উপস্থিত ছিলেন।