ফেসবুকে ইসকনকে নিয়ে কটুক্তি, ৫ জনকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ আদালতের
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে গ্রুপ তৈরি করে আন্তর্জাতিক কৃষ্ণ ভাবনামমৃত সংঘ- ইসকনের বিরুদ্ধে অপপ্রচার করার অভিযোগে ৫ জনকে কারাগারে পাঠিয়েছে আদালত।
রবিবার ( ১৭ জুলাই) চট্টগ্রাম সাইবার ট্রাইব্যুনালের বিচারক মো. জহিরুল কবির এই আদেশ দেন।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বাদীপক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট শুভাশীষ শর্মা।
অ্যাডভোকেট শুভাশীষ শর্মা জানান, ইসকন একটি আন্তর্জাতিক খ্যাতি সম্পন্ন ধর্মীয় সংগঠন। ধর্মীয় আচার অনুষ্ঠান,অনাথ মেধাবী শিক্ষার্থীদের শিক্ষাদান,মানবিক ও সামাজিক কর্মকাণ্ড, ফুড ফর লাইফসহ বিভিন্ন কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে আজ বিশ্বে সমাদৃত ইসকন। বিশ্বের ১১২ টিরও অধিক দেশে ৭৫০ টি মন্দির পরিচালনা করছে ইসকন। ইসকন ও প্রবর্তকের মধ্যে মন্দির পরিচালনা নিয়ে সমস্যার সৃষ্টি হয়। ইসকনের জনপ্রিয়তা ও সমস্যার সুযোগ নিয়ে আসামীরা নিজের ফেসবুক এবং প্রবর্তক সংঘ বাঁচাও নামে একটি ফেসবুকে ইসকন ও পুণ্ডরীক ধামের অধ্যক্ষ চিন্ময় কৃষ্ণ দাস ব্রহ্মচারীর বিরুদ্ধে কটুক্তি, মানহানিকর বক্তব্য এবং উসকানি প্রদান করে। যা ইসকনের ভক্তসহ সকল সনাতনীদের হৃদয়ে আঘাত করে।
তিনি বলেন, এই ঘটনায় ২০২১ সালের ২৩ আগস্ট ইসকনের পক্ষে নন্দনকানন রাধামাধব ও গৌর নিতাই মন্দিরের সাধারণ সম্পাদক তারননিত্যানন্দ দাস ব্রহ্মচারী বাদী হয়ে চট্টগ্রাম সাইবার ট্রাইব্যুনালে মামলা দায়ের করেন। আদালত মামলা গ্রহণ করে কাউন্টার টেররিজমকে তদন্তের নির্দেশ দেন। তদন্ত শেষে তদন্ত কর্মকর্তা ২০২২ এর ২৫ এপ্রিল আদালতে ৫ জনের বিরুদ্ধে চার্জশীট দায়ের করেন।
আসামীরা হলেন, ভিআইপি টাওয়ার ব্যবসায়ী কল্যাণ সমিতির সাধারণ সম্পাদক প্রবীবর কান্তি চৌধুরী প্রকাশ সঞ্জয় চৌধুরী, প্রিমিয়ার বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সুজন বিশ্বাস, সুভাষ মুহুরী, সদীপ দে ও সুশীল দে টিটু।
আদালত চার্জশীট গ্রহণ করে আসামীদের বিরুদ্ধে সমন জারি করেন। আসামীরা সমন পেয়ে আদালতে উপস্থিত হয়ে জামিন চাইলে দুই পক্ষের শুনানি শেষে ৫ জনকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।