ময়মনসিংহে গণধর্ষণের আসামিকে বাঁচাতে আদালতে ‘কর্মী পরিচয়ে আ.লীগের প্রত্যয়ন’!

প্রকাশিত: মে ১৩, ২০২২; সময়: ১২:৩৪ অপরাহ্ণ |

ময়মনসিংহে গণধর্ষণ ও পর্নোগ্রাফি মামলার এক আসামিকে বাঁচাতে আদালতে আওয়ামী লীগের ‘কর্মী’ পরিচয়ে প্রত্যয়ন দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে সদর উপজেলার ২ নম্বর কুষ্টিয়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে। এ নিয়ে ভুক্তভোগী পরিবারে ক্ষোভ সৃষ্টি হয়েছে।

ঘটনাটি এ ইউনিয়নের রূপাখালী গ্রামের। বিষয়টি প্রকাশ হওয়ায় সমালোচনা সৃষ্টি হয়েছে স্থানীয় আওয়ামী লীগের নেতাকর্মী ও সাধারণ মহলে।

আসামির পক্ষ আদালতে আওয়ামী লীগের প্রত্যয়নপত্র দাখিল করেছেন বলে জানিয়েছেন মামলার বাদী পক্ষের আইনজীবী ও ময়মনসিংহ জেলা আইনজীবী সমিতির সিনিয়র সদস্য অ্যাডভোকেট আমিনুল ইসলাম খোকা।

ভুক্তভোগীর বাবা মামলার বাদী বলেন, ২০২১ সালের ২৬ জানুয়ারি রাতে আমার কিশোরী মেয়েকে গণধর্ষণ করে ভিডিও ধারণ করেন স্থানীয় পাঁচ যুবক।

কিন্তু আমার মেয়ে ভিডিও প্রকাশের ভয়ে বিষয়টি প্রথমে গোপন রাখে। কিছুদিন পর আসামিরা গণধর্ষণের ওই ভিডিওটি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল করে দেন।

এতে ঘটনাটি প্রকাশ হয়ে গেলে ওই বছরের ৩ মার্চ এক অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে র‌্যাব-১৪ অভিযান চালিয়ে ঘটনার সঙ্গে জড়িত রিপন, লিয়ন ওরফে লাবিব, আশিক, খোকন ও ছমিনকে গ্রেফতার করে। পরে ওই দিনই কোতোয়ালি মডেল থানায় আসামিদের বিরুদ্ধে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন ও পর্নোগ্রাফি আইনে বাদী হয়ে আমি মামলা করি। ওই মামলায় চার আসামি প্রায় পাঁচ মাস জেল খেটে জামিনে মুক্তি পেলেও আসামি রিপন এখন জেলে আছেন।

এদিকে মামলা থেকে বাঁচাতে ঘটনার মূলহোতা আসামি লিয়ন ওরফে লাবিব আকন্দকে ২ নং কুষ্টিয়া ইউনিয়নের ৯ নং ওয়ার্ডের ‘কর্মী পরিচয়ে’ আদালতে একটি প্রত্যয়নপত্র দাখিল করেছে ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ।

ওই প্রত্যয়নপত্রে ২ নং কুষ্টিয়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি এসএম শামসুল হক কালু ও সাধারণ সম্পাদক আমিনুল ইসলাম বাবুল সরকারের স্বাক্ষর রয়েছে।

জানতে চাইলে প্রত্যয়নপত্র দেওয়ার সত্যতা স্বীকার করেছেন কুষ্টিয়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি ও বর্তমান ইউপি চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা এসএম শামসুল হক কালু।

তিনি বলেন, ওই ছেলের বাবা আওয়ামী লীগের রাজনীতি করেন। তিনি একটি প্রত্যয়নপত্র চেয়েছিলেন, তাই দিয়েছি। কিন্তু মামলার ঘটনাটি তখন আমি জানতাম না।

ডিজাইন ও কারিগরি: চট্টগ্রাম লাইভ
উপরে