শিক্ষক নিয়োগের গণনিয়োগ বিজ্ঞপ্তির ৩৮ হাজার প্রার্থীর তালিকা মন্ত্রণালয়ে
মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক পর্যায়ের বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শিক্ষক নিয়োগের ৩৮ হাজার প্রার্থীর তালিকা মন্ত্রণালয়ে। বৃহস্পতিবার (২৯ জুলাই) শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে পাঠিয়েছে বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন কর্তৃপক্ষ (এনটিআরসিএ)।
এনটিআরসিএ থেকে জানা যায়, পুলিশ ভেরিফিকেশনের জন্য প্রাথমিকভাবে সুপারিশকৃত প্রার্থীদের সমস্ত তথ্য নেয়া হয়েছে টেলিটক থেকে। যেখানে ৩৮ হাজার ২৮৬ জন প্রার্থীর সমস্ত তথ্য মিলিয়ে মোট ১৪ হাজার পৃষ্ঠা হয়। পুলিশ ভেরিফিকেশন শেষ হওয়ার পরই চূড়ান্তভাবে নির্বাচিত প্রার্থীদের তালিকা এনটিআরসিএর ওয়েবসাইটে প্রকাশ করা হবে।
মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিকে ৫৪ হাজার শিক্ষক নিয়োগে দেয়া গণবিজ্ঞপ্তির ফল গত ১৫ জুলাই রাতে ওয়েবসাইটে প্রকাশ করে এনটিআরসিএ। তবে এতে ৫১ হাজার ৭৬১টি পদে সুপারিশ করার কথা থাকলেও সুপারিশ করা হয়েছে ৩৮ হাজার ২৮৬ জন প্রার্থীকে। এর মধ্যে এমপিওভুক্ত প্রতিষ্ঠানে ৩৪ হাজার ৬১০ জনকে এবং ননএমপিভুক্ত প্রতিষ্ঠানে ৩ হাজার ৬৭৬ জনকে সুপারিশ করা হয়েছে।
আর ৮ হাজার ৪৪৮টি পদে কোনো আবেদন না পাওয়ায় এবং ৬ হাজার ৭৭৭টি মহিলা কোটা পদে মহিলা প্রার্থী না পাওয়ায় মোট ১৫ হাজার ৩২৫টি পদে ফলাফল দেয়া সম্ভব হয়নি।
এর আগে ১৫ জুলাই এক ভার্চুয়াল সংবাদ সম্মেলনে এ নিয়োগ নিয়ে কথা বলেন শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি। তিনি জানান, বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ৫৪ হাজার শূন্য পদে শিক্ষক নিয়োগ দিতে আবেদনপ্রক্রিয়া শেষ করা হলেও আদালতে মামলার কারণে আবেদনকারীদের ফলাফল এত দিন প্রকাশ করা সম্ভব হয়নি।
শিক্ষক নিবন্ধনের ১ থেকে ১২তম পর্যন্ত পাস করেও চাকরি না পাওয়া ২ হাজার ৫০০ জনকে শিক্ষক হিসেবে নিয়োগ দিতে এনটিআরসিএকে সুপারিশ করে রায় দিয়েছিলেন হাইকোর্ট। সে রায় গত ২৮ জুন বাতিল করে দেয় আপিল বিভাগ।
প্রসঙ্গত, চলতি বছরের ৩০ মার্চ তৃতীয় ধাপে বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোতে ৫৪ হাজার ৩০৪ শিক্ষক নিয়োগে তৃতীয় গণবিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে এনটিআরসিএ।
বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী, ৫৪ হাজার ৩০৪টি শূন্যপদের মধ্যে স্কুল ও কলেজ পর্যায়ে ৩১ হাজার ১০১টি পদ রয়েছে। এর মধ্যে এমপিওভুক্ত পদ ২৬ হাজার ৮৩৮টি। মাদরাসা ও কারিগরি প্রতিষ্ঠানে মোট শূন্যপদ ২০ হাজার ৯৯৬টি। এর মধ্যে ১৯ হাজার ১৫৪টি এমপিওভুক্ত। আর ২ হাজার ২০৭টি এমপিও পদে রিট মামলায় অংশগ্রহণদের জন্য সংরক্ষিত রাখা হয়।