সৈয়দ জিয়াউল হক মাইজভান্ডারী ট্রাস্ট সমাজের কল্যাণে অবদান রাখছে : ডা.রাজীব রঞ্জন

প্রকাশিত: জানুয়ারি ১৩, ২০২৩; সময়: ৮:২১ অপরাহ্ণ |

ভারত-বাংলাদেশের সম্পর্ক রক্তের, যা কেউ ছিন্ন করতে পারবে না বলে মন্তব্য করেছেন ভারতীয় সহকারী হাইকমিশনার ডা. রাজীব রঞ্জন। শুক্রবার (১৩ জানুয়ারি) বিকালে চট্টগ্রামের এমএ আজিজ জিমনেসিয়াম মাঠে পঞ্চদশ শিশু কিশোর সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি একথা বলেন। মাইজভান্ডারী ত্বরিকার প্রবর্তক সৈয়দ আহমদ উল্লাহ মাইজভান্ডারী (ক.) এর ১১৭তম উরস উপলক্ষে দশদিন ব্যাপী কর্মসূচির অংশ হিসেবে মাইজভান্ডারী একাডেমি এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।

ডা. রাজীব রঞ্জন বলেন, ভারত ও বাংলাদেশের সম্পর্ক পরীক্ষিত। ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের পাশে দাঁড়িয়ে ভারত সহযোগিতা করেছে। শরণার্থীদের আশ্রয় দেয়ার পাশাপাশি সমর যুদ্ধে অংশগ্রহণ করে অনেক ভারতীয় প্রাণ দিয়েছে। তাই দুই দেশের মানুষের সম্পর্ক এত গভীর এবং হৃদ্যতাপূর্ণ। দুই দেশের মধ্যে কাটাতারের মধ্যে বেঁড়া থাকলেও দুই দেশের মানুষের মাঝে কোনো বর্ডার নেই। ভারত প্রতিবেশী প্রথম নীতিতে বিশ্বাস করে। আর প্রতিবেশী হিসেবে বাংলাদেশ সব সময় সবার আগে। বাংলাদেশ ও ভারত এক সঙ্গে এগিয়ে যাবে অনেকদূর।

শাহানশাহ সৈয়দ জিয়াউল হক মাইজভান্ডারী ট্রাস্টেও মানবিক কাজের প্রশংসা করে ভারতীয় সহকারী হাইকমিশনার বলেন, মাইজভান্ডারী একাডেমী এবং সৈয়দ জিয়াউল হক মাইজভান্ডারী ট্রাস্ট বিভিন্ন কর্মসূচীর মাধ্যমে সমাজের কল্যাণে অবদান রাখছে। যেমন শিক্ষাক্ষেত্রে সহযোগিতা, অসহায় ও মেধাবীদের সহযোগিতা, দরিদ্রদের মেয়ের বিয়েতে সহায়তা, আত্মনির্ভর করতে সহায়তাসহ নানা মানবিক কার্যক্রম। হযরত সৈয়দ জিয়াউল হক মাইজভান্ডারীর একটি বাণী রয়েছে। সেটি হলো, আমার দরবার প্রাচ্যের বায়তুল মোক্কাদ্দেস, সকল জাতির মিলনকেন্দ্র। বাণী অনুযায়ী মাইজভান্ডারে সকল ধর্ম ও জাতির মানুষ মিলিত হয়। এছাড়া মাইজভান্ডার সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতিতে বিশ্বাস করে। কারণ সুফিবাদ সবসময় ঐক্য ও প্রেমের কথা বলে। প্রেমের মাধ্যমে পৃথিবী জয় করা যায়। যা মাইজভান্ডারী ত্বরিকার মূলনীতি।

শিশুদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন আজকের শিশু-কিশোররাই আগামী দিনের নির্মাতা। তাই শিশুদের মানবিক গুণে বেড়ে ওঠার পথ ও স্বপ্ন দেখাতে হবে। সমৃদ্ধ দেশ গড়তে হলে সমৃদ্ধ মানুষ তৈরি করতে হবে। আজ ভীতি ও শঙ্কা নিয়ে শিশুরা বড় হচ্ছে চারপাশে আজ উৎপীড়ক ও প্রতিহিংসাপ্রবণ মানুষের অভাব নেই। এদের গ্রাস থেকে শিশুদের বাঁচাতে হবে। মাইজভান্ডারী একাডেমির এই আয়োজনে শিশুদের স্বপ্ন ও প্রতিভার বিকাশ ঘটবে নিঃসন্দেহে।

শাহানশাহ সৈয়দ জিয়াউল হক মাইজভান্ডারী ট্রাস্টের সচিব এওয়াই এমডি জাফরের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে উদ্বোধক ছিলেন চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দিন। অতিথি ছিলেন লায়ন গর্ভনর সামসুদ্দিন আহমদ সিদ্দিক, মোসলে উদ্দিন, বিভাগীয় প্রধান, জেলা শিশু কর্মকর্তা, জাতীয় যাদুঘরের উপ পরিচালক ড. আতাউর রহমান,বোরখান উদ্দিন মোহাম্মদ আহসান, আলোকচিত্র শিল্পী সোয়েব ফারুকী, সৌরভ দাশ, মাইজভান্ডারি একাডেমির সাধারন সম্পাদক অধ্যাপক জহুর উল আলম, সাবেক সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক মীর তরিকুল আলমসহ অন্যরা। পরে অতিথিরা বিভিন্ন ইভেন্টে বিজয়ীদের মাঝে পুরস্কার বিতরণ করেন। এবার চট্টগ্রামের বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্টানের ৫ হাজার শিক্ষার্থী অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করেন।

ডিজাইন ও কারিগরি: চট্টগ্রাম লাইভ
উপরে