চট্টগ্রামে দুইবছর পর বর্ষবরণ
দীর্ঘ দুই বছর পর করোনার জন্য আবারও বাংলা বর্ষবরণের উচ্ছ্বাসে মেতেছে চট্টগ্রামবাসী। নগরের ডিসি হিল, সিআরবির শিরীষতলা, শিল্পকলা একাডেমি ও চারুকলা অনুষদে,চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় সহ বিভিন্ন স্থানে চলছে নতুন বছরকে বরণ করে নেওয়ার নানান আয়োজন।
বৃহস্পতিবার (১৪ এপ্রিল) সকাল থেকে সামাজিক-সাংস্কৃতিক সংগঠনের কর্মীরা বিভিন্ন স্থানে ‘এসো হে বৈশাখ, এসো এসো’ গানে বরণ করে নেন বাংলা নববর্ষকে।তবে রমজান মাস হওয়ায় এবার বসেনি মেলা, নেই ভুভুজেলার উৎপাতও।গ্রহণ করা হয়েছে বিশেষ নিরাপত্তা ব্যবস্থা। বিভিন্ন এলাকা সিসিটিভির আওতায় আনা হয়েছে।
পুলিশ, র্যাবের পাশাপাশি সাদা পোশাকে নিয়োজিত আছেন নিরাপত্তা কর্মীরা। নিয়ন্ত্রণ করা হচ্ছে যানবাহন চলাচল।
নগরের ডিসি হিলে সকাল থেকে চলছে পহেলা বৈশাখ বরণ। নাচে-গানে জমজমাট পুরো এলাকা। অনেক দিন পর প্রাণভরে শ্বাস নিতে ছুটে এসেছেন সবাই। বাঙালি নারীর ঐতিহ্য শাড়ি, পুরুষরা পাঞ্জাবি পড়ে এসেছেন অনুষ্ঠানস্থলে। শিশুরা মুখে বা হাতে রং-তুলি দিয়ে আঁকিয়ে নিচ্ছে ‘শুভ নববর্ষ’। গত ৪২ বছর ধরে পহেলা বৈশাখের সবচেয়ে পুরনো আয়োজনটি হয়ে থাকে নগরীর ডিসি হিল এলাকায়। সংগীত ভবন, উদীচী শিল্পী গোষ্ঠী, বোধন আবৃত্তি পরিষদ, ওডিসি ড্যান্স মুভমেন্টসহ বিভিন্ন সংগঠন নাচ-গান ও আবৃত্তি পরিবেশন করেছে উৎসবে। এসব পরিবেশনা মুগ্ধ হয়ে উপভোগ করেছেন দর্শনার্থীরা।
সিআরবির শিরীষতলায় সকাল ৮টা থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত বিভিন্ন সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন চলছে। সেখানেও আসছেন নানান বয়সীরা। তবে এবার সেখানে বলীখেলা হচ্ছে না। ভায়োলিনিস্ট চিটাগংয়ের শিল্পীরা সমবেতভাবে বেহালার মূর্ছনায় রাঙিয়ে দেন নববর্ষের সকালটা। ‘এসো হে বৈশাখ’ গানের সুরে সুরে শুরু হয় বাংলা নববর্ষ আবাহন। এরপর সংগীত ভবন, সুরাঙ্গন বিদ্যাপীঠ, প্রমা আবৃত্তি সংগঠন, বোধন আবৃত্তি পরিষদ, অদিতি সংগীত নিকেতন, সৃজামি, রাগেশ্রীসহ বিভিন্ন সংগঠন সাংস্কৃতিক পরিবেশনায় অংশ নেয়।
চবি চারুকলা ইনস্টিটিউট থেকে সকাল ১০টায় মঙ্গল শোভাযাত্রা বের হবে। রমজান মাসের কারণে মঙ্গল শোভাযাত্রা যাবে কাজীর দেউড়ি পর্যন্ত। চারুকলা অনুষদে এবারের আয়োজন চিত্রশিল্পী রশিদ চৌধুরীকে উৎসর্গ করা হয়েছে। সেই প্রেক্ষিতে চিত্রশিল্পী রশিদ চৌধুরীর স্লোগান ‘শিল্পের প্রয়োজন; বিবেকের জন্য, জীবনের জন্য’কে প্রতিপাদ্য করা হয়েছে।