এই হামলায় প্রমাণ হয়েছে যে,আওয়ামী লীগের চরিত্রের এতটুকু পরিবর্তন হয়নি: ফখরুল
কুমিল্লার দাউদকান্দিতে শনিবার (৭ মে) দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেনের বাসায় হামলার ঘটনার নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
এই অনির্বাচিত সরকার তাদের ক্ষমতাকে কুক্ষিগত করার জন্য আবার এখন থেকেই সন্ত্রাসের আশ্রয় নিয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন তিনি।
রোববার (৮ মে) দুপুরে গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে বিএনপি মহাসিচব এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, শনিবার আমাদের স্থায়ী কমিটির সিনিয়র সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন ঈদ পরবর্তী শুভেচ্ছা বিনিময় করতে দাউকান্দিতে তার নিজ বাড়িতে গিয়েছিলেন।
সেখানে সকাল সাড়ে ৯টার দিকে নেতা-কর্মীদের সঙ্গে ঈদের শুভেচ্ছা বিনিময় করেন। পরে তিতাসে একটি নিমন্ত্রণ রক্ষার জন্য যখন তিনি বাড়ি বের হন তখন অতর্কিতে আওয়ামী সন্ত্রাসীরা লাঠি-সোঠা, ইট-পাটকেল ছুঁড়ে তার এবং সঙ্গীদের ওপর আক্রমণ করে।
বিএনপি মহাসচিব বলেন, এটাকে আমরা ড. মোশাররফের ওপরে শারীরিক আক্রমণ বলে মনে করি। আক্রমণটা এতোটাই তীব্র ছিল যে, কর্মীরা ড. মোশাররফ হোসেনকে তাকে বাসায় তুলে দেন এবং গেট বন্ধ করে দেন।
তারপরও আওয়ামী সন্ত্রাসীরা বৃষ্টির মতো ইট ও পাথর মারতে থাকে। কিছুক্ষণ পরে পুলিশ এসে নিয়ন্ত্রণ করে এবং খন্দকার মোশাররফ হোসেন সেখান থেকে বেরিয়ে যেতে পারেন। বিষয়টা সেটা না। যেহেতু তিনি আমাদের স্থায়ী কমিটির সিনিয়র নেতা, তার ওপরে হামলাকে আমরা মনে করি স্থায়ী কমিটির ওপর হামলা, আমাদের দলের ওপর হামলা। আমরা এটাকে ছোট করে দেখতে পারি না।
তিনি বলেন, আওয়ামী লীগের এই হামলায় প্রমাণ হয়েছে যে, তাদের চরিত্রের এতটুকু পরিবর্তন হয়নি। বরং তারা নতুন উদ্যোমে বিএনপি তথা ভিন্নমতকে, বিরোধী দলকে নির্মূল ও দমন করার জন্য চরম সন্ত্রাসের আশ্রয় নিয়েছে। গণমাধ্যমকে তারা নিয়ন্ত্রণ করে রেখেছে। আপনারা দেখেছেন যে,আন্তর্জাতিকভাবে সংবাদ মাধ্যমের যে সূচক করা হয়, ফ্রিডম অব প্রেসের যে সূচক প্রকাশ হয়েছে তাতে বাংলাদেশ ১০ ধাপ নেমে গেছে। এর থেকে প্রমাণ হয় বাংলাদেশ ক্রমান্বয়ে একটা স্বৈরাচারি দেশে পরিণত হয়েছে।
সংবাদ সম্মেলনে ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেনের ওপর হামলাকারীদের গ্রেফতার ও বিচারে দাবি জানান বিএনপি মহাসচিব।