‘জিয়া-এরশাদ-খালেদা দেশের কোন উন্নয়ন চায়নি’
মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ,ক,ম মোজাম্মেল হক বলেছেন, বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর দেশের ইতিহাস নিয়ে মিথ্যাচার ও ভুল শিক্ষা দিয়ে বিকৃতি ঘটানো হয়েছিল।এ সময় যারা রাষ্ট্র ক্ষমতায় ছিলেন, তারা বাংলাদেশকে পাকিস্তানের মতো একটা ব্যর্থ ও অকার্যকর রাষ্ট্রে পরিণত করতে চেয়েছিলেন।
তবে দেশের মানুষ শেখ হাসিনার নেতৃত্বে ঐক্যবদ্ধ হয়ে সেই অপশক্তিকে ভোটের মাধ্যমে পরাজিত করে মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় দেশকে ফেরত নিয়ে এসেছেন। আজ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বাংলাদেশের ২৩ বছরের মুক্তির সংগ্রাম, ৯ মাসের মুক্তিযোদ্ধের সঠিক ইতিহাস সবার সামনে তুলে ধরতে সর্বোচ্চ চেষ্টা করে যাচ্ছেন।
শুক্রবার (২৭ মে) দুপুরে শহরের শহীদ ধীরেন্দ্রনাথ দত্ত ভাষা চত্ত্বরে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় খেলাঘরের দুই যুগপূর্তি ও ৫ম সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। এর আগে একটি র্যালি শহরের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে।
মন্ত্রী আরও বলেন, জিয়া, এরশাদ ও খালেদা জিয়া ২৯ বছর রাষ্ট্র ক্ষমতায় থাকাকালে দেশের কোনো উন্নয়ন চায়নি, বরং এদেশকে ব্যর্থ রাষ্ট্রে পরিণত করতে চেয়েছিলেন। আর বঙ্গবন্ধু ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রায় ২২বছর রাষ্ট্র ক্ষমতাকালে দেশের সর্বত্র উন্নয়ন ঘটছে।
তাই সেই কালো অধ্যায় যাতে আর ফিরে না আসে সেই প্রত্যয় ও শপথ নিয়ে এগিয়ে যেতে হবে।
সকালে স্থানীয় শহীদ ধীরেন্দ্র নাথ ভাষা চত্বরে আয়োজিত এ সম্মেলন উদ্বোধন করেন স্থানীয় সংসদ সদস্য র.আ.ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী।
খেলাঘর ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সভাপতি ডা. মোহাম্মদ আবু সাঈদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন জেলা প্রশাসক মো. শাহগীর আলম, পুলিশ সুপার মো. আনিসুর রহমান, ইউনিভার্সেল মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ডা. আশীষ কুমার চক্রবর্তী, কেন্দ্রীয় খেলাঘর আসরের সাধারণ সম্পাদক প্রণয় সাহা, ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেসক্লাবের সভাপতি রিয়াজউদ্দিন জামি, সাধারণ সম্পাদক জাবেদ রহিম বিজন।