চায়ে বিষাক্ত রাসায়নিক: ভারতের চালান ফিরিয়ে দিচ্ছে অনেক দেশ

প্রকাশিত: জুন ৪, ২০২২; সময়: ৩:২৯ অপরাহ্ণ |

চায়ের ভেতর কীটনাশক ও মাত্রাতিরিক্ত রাসায়নিকের উপস্থিতির কারণে ভারতের চালান ফিরিয়ে দিয়েছে দেশ-বিদেশের বেশ কিছু ক্রেতা।

শুক্রবার (৩ জুন) ভারতীয় চা রপ্তানিকারক সমিতির (আইটিইএ) চেয়ারম্যান অংশুমান কানোরিয়ার উদ্ধৃতি দিয়ে এ তথ্য জানিয়েছে বার্তা সংস্থা পিটিআই।

শ্রীলঙ্কায় সংকটের কারণে বৈশ্বিক চায়ের বাজারে যে শূন্যতা তৈরি হয়েছে, তার সুবিধা নিয়ে রপ্তানি বাড়ানোর স্বপ্ন দেখছিল ভারতীয় চা বোর্ড। কিন্তু বিভিন্ন দেশ থেকে রপ্তানির চালান প্রত্যাখ্যাত হওয়ায় সেই স্বপ্ন এখন হাওয়ায় মিলিয়ে যেতে বসেছে।

আইটিইএ চেয়ারম্যান বলেন, দেশে বিক্রি হওয়া সব চায়ে অবশ্যই ফুড সেফটি অ্যান্ড স্ট্যান্ডার্ড অথোরিটি অব ইন্ডিয়ার (এফএসএসএআই) নিয়ম মেনে চলতে হয়। তবে বেশিরভাগ ক্রেতা এমন চা পাচ্ছেন, যাতে অস্বাভাবিক মাত্রায় রাসায়নিক উপাদান রয়েছে।

তিনি জানান, অনেক দেশ চা আমদানিতে কঠোর নিয়মকানুন অনুসরণ করছে। বেশিরভাগ দেশ বিভিন্ন রূপে ইউরোপীয় ইউনিয়নের মানদণ্ড অনুসরণ করে, যা ভারতের নিয়মের চেয়ে অনেক বেশি কঠোর।

অংশুমান বলেন, আইন মেনে চলার পরিবর্তে অনেকে এফএসএসএআই’র নিয়মগুলোকে আরও উদার করতে সরকারের কাছে অনুরোধ করছে। কিন্তু এটি সবখানে একটি ভুল সংকেত পাঠাবে। কারণ চাকে সারাবিশ্বে স্বাস্থ্যকর পানীয় হিসেবে বিবেচনা করা হয়।

ভারতীয় চা বোর্ডের এক জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা পিটিআই’কে জানিয়েছেন, এ বিষয়ে চা প্যাকেটজাতকারী ও রপ্তানিকারকদের কাছ থেকে অভিযোগ পেয়েছেন তারা।

তিনি বলেন, বারবার বলা হয়, উৎপাদকদের অবশ্যই এফএসএসএআই’র নিয়ম কঠোরভাবে মেনে চলতে হবে। কিন্তু বিদ্যমান নিয়ম পরিবর্তনের দাবি তুলেছে উৎপাদক সংস্থাগুলো। তবে এটি স্পষ্ট যে, রপ্তানির ক্ষেত্রে আমদানিকারক দেশগুলোতে বিদ্যমান নিয়ম মেনে চলা উচিত।

২০২১ সালে মোট ১৯ কোটি ৫৯ লাখ কেজি চা রপ্তানি করেছিল ভারত। এ থেকে তাদের আয় হয়েছিল প্রায় ৫ হাজার ২৪৬ কোটি রুপি। ভারতীয় কর্তৃপক্ষ এ বছর চা রপ্তানিতে ৩০ কোটি কেজির মাইলফলক পেরোনোর লক্ষ্য নির্ধারণ করেছে। ভারতীয় চায়ের প্রধান ক্রেতা ইরান এবং কমনওয়েলথভুক্ত দেশগুলো।

সূত্র: এনডিটিভি

ডিজাইন ও কারিগরি: চট্টগ্রাম লাইভ
উপরে