শুরুতেই ৬ উইকেট হারালো বাংলাদেশ
একের পর এক উইকেট হারানোর মিছিলে ভরসা হয়ে ছিলেন তামিম ইকবাল আর লিটন দাস। বিপর্যয়ের মুখে দাঁড়িয়ে একটি জুটিও গড়েছিলেন। কিন্তু ৫ বলের ব্যবধানে এই দুই ব্যাটারকে হারিয়ে আবারও বিপদে পড়েছে বাংলাদেশ।
তামিম-লিটন দুজনই ব্যাটিং লাইনআপে বড় আস্থার প্রতীক। ১৬ রানে ৩ উইকেট হারানো দলকে অনেকটা সময় দুশ্চিন্তামুক্তও রেখেছিলেন তারা। ৫৩ বলের জুটিতে আসে ২৫ রান।
এরপরই আবার বিপদ। আলজেরি জোসেফের লেগ সাইডের বল খেলতে গিয়ে দুর্ভাগ্যজনকভাবে উইকেটরক্ষকের ক্যাচ হয়েছেন তামিম। ৪৩ বলে ৪ বাউন্ডারিতে তিনি করেন ২৯ রান।
এর পরের ওভারে জোড়া আঘাত হেনেছেন কাইল মায়ার্স। লিটন দাস ৩৩ বলে ১২ করে ক্যাচ দিয়েছেন উইকেটরক্ষকের কাছে। ইয়াসির আলি রাব্বির বদলে সুযোগ পাওয়া নুরুল হাসান সোহান এক বল পরই হয়েছেন এলবিডব্লিউ (০)।
এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত ১৫ ওভার শেষে বাংলাদেশের সংগ্রহ ৬ উইকেটে ৪৫ রান। সাকিব আল হাসান আর মেহেদি হাসান মিরাজ মাত্রই ক্রিজে এসেছেন।
অ্যান্টিগায় টস হেরে ব্যাটিং করছে বাংলাদেশ। ক্যারিবীয় পেসার কেমার রোচ ইনিংসের দ্বিতীয় বলেই আঘাত হেনেছেন। বাইরের বল অযথা খোঁচা দিয়ে স্লিপে ক্যাচ হয়েছেন মাহমুদুল হাসান জয় (১ বলে ০)। টেস্টে ১১ ইনিংসে তার শূন্য এ নিয়ে ছয়টি।
এক ওভার বিরতি দিয়ে এসে রোচ তুলে নিয়েছেন টপঅর্ডারের আরেক ব্যাটার নাজমুল হোসেন শান্তকেও। ব্যাট-প্যাডের ফাঁক গলে বোল্ড হওয়া শান্তও করেছেন শূন্য, ৫ বল খেলে। ফলে ৩ রান তুলতেই ২ উইকেট হারিয়ে বসে বাংলাদেশ।
এরপর ব্যাট করতে নেমে তামিমের সঙ্গে জুটি বাধার চেষ্টা করেছিলেন মুমিনুল হক। আশা ছিল, নেতৃত্বের ভারমুক্ত হওয়ার পর নিজেকে ফিরে পাবেন টেস্টে বাংলাদেশের সেরা এই ব্যাটার। কিন্তু, না। তিনি নিজেকে যেন হারিয়ে খুঁজছেন। কোনোভাবেই ফর্মে ফিরতে পারছেন না।
আজও সুযোগ ছিল তার সামনে নিজেকে মেলে ধরার। কিন্তু না, মাহমুদুল হাসান জয় আর নাজমুল হোসেন শান্তর দেখানো পথে হেঁটে তিনিও আউট হলেন শূন্য রানে। জেইডেন সিলসের ডেলিভারি তাড়া করতে গিয়ে স্লিপে ক্যাচ দিয়েছেন মুমিনুল। এ নিয়ে টানা আট ইনিংসে দশের নিচে আউট হলেন তিনি।