মোর্শেদ হাসানকে বাসা থেকে উচ্ছেদের দাবিতে ঢাবি প্রশাসনকে মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চের আলটিমেটাম
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্লাবে গভীর রাতে নিয়মবহির্ভূত ভাবে গোপন বৈঠকে রাষ্ট্র বিরোধী ষড়যন্ত্রে জড়িত রহুল কবির রিজভী, এবিএম ওবায়দুল ইসলাম ও মোর্শেদ হাসান খাঁনকে দ্রুত গ্রেফতার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানানোর পাশাপাশি আগামী ২৪ ঘন্টার মধ্যে ঢাবির চাকুরীচ্যুত শিক্ষক ও বিএনপি নেতা মোর্শেদ হাসান খাঁনকে বাসা থেকে উচ্ছেদের দাবিতে ঢাবি প্রশাসনকে আলটিমেটাম দিয়েছে বাংলাদেশ মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চ।
সংগঠনের সভাপতি আমিনুল ইসলাম বুলবুল ও সাধারণ সম্পাদক আল মামুন স্বাক্ষরিত এক লিখিত প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে আজ (২৩ জুন) এই দাবি জানানো হয়েছে।
লিখিত প্রতিবাদ লিপিতে বলা হয়েছে যে, “গত ১৮ জুন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্লাবে গভীর রাতে নিয়মবহির্ভূত ভাবে গোপন বৈঠকে স্বাধীনতা বিরোধী অপশক্তি বিএনপি নেতা রুহুল কবির রিজভী,বিএনপি-জামাতপন্থী শিক্ষক এবিএম ওবায়দুল ইসলাম ও চাকুরীচ্যুত মোর্শেদ হাসান খাঁনের নেতৃত্বে গোপন বৈঠকে রাষ্ট্র বিরোধী ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছে বাংলাদেশ মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চ। নিশি রাতের এই গোপন বৈঠকে অছাত্রদের সন্ত্রাসী সংগঠন ছাত্রদলের সন্ত্রাসীদেরকে সাথে নিয়ে রাষ্ট্র বিরোধী ষড়যন্ত্রের পরিকল্পনা করা হয়েছে যা দেশের প্রচলিত আইন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্লাব ও বিশ্ববিদ্যালয় আইন পরিপন্থী। রাষ্ট্র বিরোধী গোপন বৈঠকে বাঙালি জাতির দীর্ঘদিনের কাঙ্ক্ষিত স্বপ্নের পদ্মা সেতুর উদ্বোধন অনুষ্ঠানকে বানচাল ও বিশ্ববিদ্যালয়ে লাশ ফেলানোর গভীর ষড়যন্ত্রের পরিকল্পনা করা হয়েছে যা কখনোই মেনে নিবে না বাংলাদেশ মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চ।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার সুষ্ঠু পরিবেশ বজায় রাখার স্বার্থে সিসি টিভির ফুটেজগুলো দেখে অবিলম্বে এই গোপন বৈঠকে অংশগ্রহণকারী প্রত্যেককে গ্রেফতার করে রিমান্ডে নিয়ে এসে রাষ্ট্র বিরোধী ষড়যন্ত্রের প্রকৃত তথ্য জাতির সামনে প্রকাশ করতে হবে। বঙ্গবন্ধু ও মুক্তিযুদ্ধকে কটূক্তির অপরাধে চাকুরীচ্যুত শিক্ষক ও বিএনপি নেতা মোর্শেদ হাসান খান অবৈধভাবে এখনো ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আবাসিক ভবনের বাসায় বসবাস করছেন যা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন পরিপন্থী। অবিলম্বে তার বাসা বরাদ্দ বাতিল করতে হবে। এখনোও পর্যন্ত কেন মোর্শেদ হাসান খাঁনকে বাসা থেকে বের করা হয়নি তার জবাব বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে দিতে হবে।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন কারা চালায় এটা এখন ভাববার সময় এসেছে। বঙ্গবন্ধু ও মুক্তিযুদ্ধকে কটূক্তিকারী স্বাধীনতা বিরোধী অপশক্তির দোসর মোর্শেদ হাসান খাঁনকে আগামী ২৪ ঘন্টার মধ্যে বিশ্ববিদ্যালয়ের বাসা থেকে বের করে না দিলে বাংলাদেশ মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চ আরোও কঠোর কর্মসূচী ঘোষণা করতে বাধ্য হবে। বঙ্গবন্ধু ও মুক্তিযুদ্ধের প্রশ্নে আমরা সবসময় আপোষহীন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্নকারী এবিএম ওবায়দুল ইসলাম ও মোর্শেদ হাসান খাঁনকে যেখানে পাওয়া যাবে সেখানেই প্রতিহত করবে বাংলাদেশ মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চ। রাষ্ট্র বিরোধী ষড়যন্ত্রের মূলহোতা স্বাধীনতা বিরোধী অপশক্তি বিএনপি-জামাতের দোসর ওবায়দুল ইসলামকে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে দ্রুত বহিষ্কার করতে হবে। বাঙ্গালি জাতির কাঙ্ক্ষিত স্বপ্ন পদ্মা সেতুর উদ্বোধন বানচাল করার জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ে লাশ ফেলানোর ষড়যন্ত্রে জড়িত রাজাকার পুত্র রুহুল কবির রিজভী, ওবায়দুল ইসলাম ও মোর্শেদ হাসান খানের বিরুদ্ধে এখনও পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন কোন আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করেনি যা অত্যন্ত দুঃখজনক। সিসি টিভির ফুটেজ দেখে প্রত্যেক অপরাধীর বিরুদ্ধে এখনও কেন ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে না?
ঢাবি প্রশাসন কোন ব্যবস্থা গ্রহণ না করলে উপাচার্যের কার্যালয় ঘেরাওসহ আরোও কঠোর কর্মসূচী ঘোষণা করবে বাংলাদেশ মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চ। রিজভী গংরা ছাত্রদলের সন্ত্রাসীদের দিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ে লাশ ফেলে ক্যাম্পাসকে অস্থিতিশীল করার ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হয়েছে। মহান মুক্তিযুদ্ধের সূতিকাগার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কখনোই সন্ত্রাস, মৌলবাদ ও জঙ্গিদের নিরাপদ আশ্রয়স্থল হতে পারে না। শান্ত বিশ্ববিদ্যালয়কে অশান্ত করার পাঁয়তারা চলছে। পদ্মা সেতুর উদ্বোধনকে বানচাল করার জন্য রিজভী গংরা হলগুলোতে লাশ ফেলানোর ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হয়েছে। ঢাবি ক্লাবের নিয়ম-নীতি লঙ্ঘন করে গভীর রাতে ছাত্রদলের সন্ত্রাসীদের নিয়ে গোপন বৈঠকের মাধ্যমে প্রমাণিত হয় বিএনপি একটি জঙ্গিবাদী সংগঠন। কুলাঙ্গার মোর্শেদ হাসান খাঁন ও ওবায়দুল ইসলাম গংরা সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদের মদদদাতা। নিশি রাতের গোপন বৈঠকে উপস্থিত সকল দেশ বিরোধী অপশক্তিকে গ্রেফতার করে প্রয়োজনীয় জিজ্ঞাসাবাদ করতে হবে। কারণ এরা দেশ ও জাতির শত্রু। রিজভী কেন গভীর রাতে ঢাবি ক্লাবে ঢুকে গোপন বৈঠক করলেন? এবিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের নীরবতা কিসের ইঙ্গিত দেয়। ঢাবি প্রশাসনের নিকট আহবান, রাষ্ট্র বিরোধী ষড়যন্ত্রের অপরাধে রিজভী, ওবায়দুল ও মোর্শেদ হাসানের বিরুদ্ধে দ্রুত আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। অন্যথায় বাংলাদেশ মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চ ঢাবি উপাচার্যের কার্যালয়ে আরোও কঠোর কর্মসূচী ঘোষণা করবে।”