জ্বালানি সংকটে বাংলাদেশের পাশে ভারত

প্রকাশিত: জুলাই ২৩, ২০২২; সময়: ৫:১৫ অপরাহ্ণ |

চলমান জ্বালানি সংকটে বাংলাদেশের পাশে দাঁড়িয়েছে ভারত। বাংলাদেশে প্রথমবারের মতো অকটেন পেট্রোলসহ বিভিন্ন জ্বালানি পণ্যের কাঁচামাল ন্যাপথা (গ্যাসের একটি উপজাত) আমদানি করা হয়েছে। ভারতের হলদিয়া বন্দর থেকে মোংলা বন্দর দিয়ে ন্যাপথা পরিবহন করে নরসিংদীর ঘোড়াশাল শীতলক্ষা নদীর অ্যাকোয়া রিফাইনারি লিমিটেড জেটিতে পৌঁছেছে।

শনিবার (২৩ জুলাই) দুপুরে আনুষ্ঠানিকভাবে পণ্য খালাশ কার্যক্রম উদ্বোধন করেন ভারত ও বাংলাদেশের প্রতিনিধিরা।

এসময় উপস্থিত ছিলেন বিআইডব্লিউটিএ’র পরিচালক রফিকুল ইসলাম, ইন্ডিয়ান ওয়েল কর্পোরেশন বাংলাদেশের কান্ট্রি ম্যানেজার মাজহার আলম, অ্যাকোয়া রিফাইনারি লিমিটেডের ডিরেক্টর অপারেশন এরশাদ হোসেন, সাংহাই শিপের ওনার মাসুদুর রহমান, অ্যাকোয়া রিফাইনারি লিমিটেডের ডিএমডি সাজেদুল সিরাজ ও জিএম জাহাঙ্গীর আলম।

জানা গেছে, বাংলাদেশ বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের অনুমতির পরিপ্রেক্ষিতে প্রথমবারের মতো ১৯শ’ মেট্রিকটন ন্যাপথা আমদানি করা হয়। ১৯শ’ মেট্রিকট্রন ন্যাপথা রূপান্তর করে ২৫ লাখ লিটার জ্বালানি তেল উৎপন্ন করা হবে। এ ন্যাপথা পরিশোধিত হওয়ার পর ৮০ শতাংশ অকটেন, ৫ শতাংশ পেট্রোল ও ৭ শতাংশ কোরোসিন উৎপাদিত হবে। যা দেশের চলমান জ্বালানি সংকট নিরসনে কার্যকর ভূমিকা রাখবে।

অ্যাকোয়া রিফাইনারি লিমিটেড ডিরেক্টর অপারেশন এরশাদ হোসেন বলেন, ভবিষ্যতে প্রতি মাসে আমরা সাড়ে তিন হাজার থেকে চার হাজার মেট্রিকটন ন্যাপথা বাংলাদেশে নিয়ে আসব। এটি প্রক্রিয়াকরণ করতে পাঁচদিন সময় লাগে। ন্যাপথা পরিশোধিত করার পর পদ্মা, মেঘনা ও যমুনার মাধ্যমে সারাদেশের ভোক্তাদের কাছে পৌঁছানো হবে। ভবিষ্যতে এ ন্যাপথা বাংলাদেশের ১০% অকটেনের চাহিদা পূরণ করতে পারবে। দ্রুত সময়ে পৌঁছার কারণে ও দামে কম হওয়ার কারণে এটি আমাদের জন্য সাশ্রয়ী হবে।

ইন্ডিয়ান ওয়েল কর্পোরেশনের বাংলাদেশের কান্ট্রি ম্যানেজার মাজহার আলম বলেন, ভারতের হলদিয়া থেকে দূরত্ব কম হওয়ায় ন্যাপথা খুব দ্রুত ঢাকায় পৌঁছে যাবে। এটির প্রক্রিয়াকরণ করতেও সময় কম লাগে। আগে এটা প্রথমে চট্টগ্রামে আসতো, পরে তা অ্যাকোয়া রিফাইনিংয়ে আসত। যার ফলে ভাড়া বেশি পড়ত। এখন সময় কম লাগার কারণে দ্রুত ন্যাপথা থেকে ফুয়েল উৎপাদন করে জ্বালানি সংকট দূর করা যাবে। ভবিষ্যতে আরও বেশি পরিমাণে ন্যাপথা বাংলাদেশে আসবে। ন্যাফতা হচ্ছে আলকাতরা ও পেট্রোল থেকে উৎপন্ন দাহ্য তেল বিশেষ।

বিআইডব্লিউটিএ’র পরিচালক রফিকুল ইসলাম বলেন, আমরা বছরে ৪৫ লাখ মেট্রিকটন মালপত্র ভারত থেকে নিয়ে আসি। এবারই প্রথম ভারত থেকে ন্যাপথা বাংলাদেশে নিয়ে আসা হয়েছে। বর্তমানে দেশে বিদ্যুতের যে ঘাটতি, তার প্রধান কারণ হলো জ্বালানি তেলের অপ্রতুলতা। দেশে ন্যাপথা অয়েল আমদানির ফলে ফুয়েলের যে ঘাটতি, তা কিছুটা পূরণ হবে। আর সরকার বছরে এক লাখ ২০ হাজার মেট্রিকটন ন্যাপথা নিয়ে আসার পরিকল্পনা করেছে। আগামীতে আরও ন্যাপথা দেশে আসবে।

ডিজাইন ও কারিগরি: চট্টগ্রাম লাইভ
উপরে