সৈয়দ জিয়াউল হক মাইজভাণ্ডারীর হাদিয়াবিহীন খোশরোজ শরিফ
লাখো আশেক-ভক্তের অংশগ্রহণে বিশ্বঅলি শাহানশাহ্ হযরত সৈয়দ জিয়াউল হক মাইজভাণ্ডারী (ক.) এর ৯৪তম খোশরোজ শরিফ পালিত হয়েছে। ফজর নামায আদায়ের পর শাহানশাহ্ মাইজভাণ্ডারীর পবিত্র রওজা গোসলের পর খতমে কুরআন, খতমে গাউসিয়া, খতমে খাজেগান এবং ও মিলাদ পাঠের মাধ্যমে খোশরোজ শরিফের আনুষ্ঠানিকতা শুরু হয়।
আগেরদিন ৯ পৌষ হতে দেশের দূর-দূরান্ত হতে বিপুল ভক্ত-আশেকের সমাগম ঘটে। শুভ্রতার প্রতীক ফুল হাতে নিয়ে তারা দলবদ্ধ হয়ে দরবারে হাজির হতে থাকেন। এদিন (৯ পৌষ) রাতে ‘এস জেড এইচ এম ট্রাস্ট’-এর সাংস্কৃতিক সংগঠন ‘মাইজভাণ্ডারী মারমী গোষ্ঠী’র শিল্পীরা সামা মাহফিলে সুফি সংগীত পরিবেশন করেন।
বিশ্বঅলি শাহানশাহ্ হযরত সৈয়দ জিয়াউল হক মাইজভাণ্ডারী (ক.)’র ৯৪তম খোশরোজ শরিফ উপলক্ষে তাঁর রওজা শরিফকে ঘিরে ভক্ত জনতা দোয়া, দুরূদ, মিলাদ, কিয়াম ও জিকির আজকারে মশগুল থাকেন। বিশ্বঅলি শাহানশাহ হযরত সৈয়দ জিয়াউল হক মাইজভাণ্ডারী (ক.)’র উসিলায় নিজেদের হাজত মকসুদ পূরণ ও আল্লাহ্ পাকের নৈকট্য অর্জনের অশ্রুসিক্ত ফরিয়াদ জানান ভক্ত জনতা। হযরত সৈয়দ মোহাম্মদ হাসান মাইজভাণ্ডারী’র নির্দেশনা মেনে চলে কোন হাদিয়া ছাড়াই শুধু ফুল নিয়ে এতে অংশ নেন ভক্ত জনতা।
রাতে কেন্দ্রিয় মাহফিলে- ‘যাকাত প্রদানে নারীর হক’, ‘সুফিদের জজবায়ী কালাম’, ‘পবিত্র কুরআন-হাদিসের আলোকে প্রিয়নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর মর্যাদা’, ‘তাসাওউফ জগতে প্রেমধারা এবং হযরত ঈসা আলাইহিস্ সালাম’, ‘প্রসঙ্গ: বেলায়তে মোকাইয়াদা এবং বেলায়তে মোত্লাকা যুগ’, ‘পূর্ববর্তী যুগে প্রণীত ফিক্বহি কিতাবাদী এবং বর্তমান পরিবর্তিত বিশ্ব’ এবং ‘মানকাবাতে বিশ্বঅলি শাহানশাহ্ হযরত সৈয়দ জিয়াউল হক মাইজভাণ্ডারী’ বিষয়ে দেশবরেণ্য ইসলামী চিন্তাবিদগণ আলোচনা করবেন।
খোশরোজ শরিফ উপলক্ষে মাইজভাণ্ডার শরিফ গাউসিয়া হক মনজিল প্রতিষ্ঠিত ‘শাহানশাহ্ হযরত সৈয়দ জিয়াউল হক মাইজভাণ্ডারী (ক.) ট্রাস্ট’-এর ব্যবস্থাপনায় বিভিন্ন কর্মসূচির মধ্যে ছিল- স্থানীয় ৪টি দৈনিক পত্রিকায় বিশেষ ক্রোড়পত্র প্রকাশ, দরবার শরিফ এলাকায় উপদেশ ও দিক-নির্দেশনা সম্বলিত প্রচার, বিশুদ্ধ পানীয় জল, ওযু এবং অস্থায়ী টয়লেটের ব্যবস্থা, নগরের মুরাদপুর হতে দরবার শরিফ পর্যন্ত বিআরটিসি’র বিশেষ বাস সার্ভিস।