চট্টগ্রামে ছাত্রলীগের বিনামূল্যে অক্সিজেন সেবায় স্বস্তির নিঃশ্বাস নগরবাসীর
করোনার মহামারীর প্রথমদিকে যখন চট্টগ্রাম নগরীর রোগীরা অক্সিজেনের অভাবে ধুকঁছিলো, তখনই নগরবাসীকে বিনামূল্যে অক্সিজেন সেবা দেওয়ার লক্ষ্যে নগর ছাত্রলীগ নেতা মোশরাফুল হক চৌধুরী পাভেল সম্বনয় করে ছাত্রলীগের একঝাকঁ তরুণ কর্মীদের নিয়ে “মানবিক চট্টলা“র উদ্যোগে শুরু করেন ফ্রি অক্সিজেন সেবা। গতবছর করোনা মহামারীর প্রথম থেকে শুরু করে এখন পর্যন্ত নগরী ও বিভিন্ন উপজেলা মিলে প্রায় ৮৫০ জন রোগীকে বিনামূল্যে অক্সিজেন সেবা দিয়েছে ” মানবিক চট্টলা”।
এছাড়াও বিভিন্ন সময় খাদ্য সহায়তা, বস্ত্র নিয়েও নগরীর ছিন্নমূল মানুষদের পাশে থেকেছে ছাত্রলীগ নেতা-কর্মীদের নিয়ে গড়ে উঠা এই সংগঠনটি। দুঃসময়ে সহযোগিতামূলক কর্মকান্ডের মাধ্যমে নগরবাসীর আস্থাও অর্জন করতে পেরেছে “টিম মানবিক চট্টলা”র সদস্যরা। এমনকি রোগীদের বাসায় অক্সিজেন সেবা দিতে গিয়ে একটি মোটরসাইকেল চুরি হয়ে যাওয়ার পরও স্থবির হয়ে পড়েনি সংগঠনটির সেবামূলক কার্যক্রম। সংগঠনটির সদস্যরা রিক্সা,সিএনজিতে করে নগরীর বিভিন্ন জায়গায় নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যেই অক্সিজেন পৌছে দিয়েছে রোগীদের দোর-গোড়ায়।
বিনামূল্যে অক্সিজেন সেবা কর্মসূচি নিয়ে জানতে চাইলে সংগঠনটির প্রতিষ্টাতা সভাপতি ও নগর ছাত্রলীগের সদস্য মোশরাফুল হক চৌধুরী পাভেল বলেন, ” দুঃস্থদের মাঝে খাদ্য সহায়তা ও ত্রাণ বিতরণ করতে গিয়ে আমি যখন করোনা আক্রান্ত হই, তখনই অনুভব করতে পেরেছিলাম যে অক্সিজেনের গুরুত্বটা আসলে কতটুকু! এরপর সুস্থ হয়ে উঠার পর যখন দেখলাম নগরীর সাধারণ রোগীরা অক্সিজেনের অভাবে অসহায় অবস্থা পার করছে, তখন মাননীয় শিক্ষা উপ-মন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল মহোদয়ের নির্দেশনায় আমি নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় ছাত্রলীগের কিছু নিঃস্বার্থ কর্মীদের নিয়ে “মানবিক চট্টলা” র পক্ষ থেকে রোগীদের বাসায় বাসায় গিয়ে ফ্রি অক্সিজেন সেবা দেওয়া শুরু করি৷”
তিনি আরো বলেন,” ঈদুল আযহার মতো পবিত্র দিনেও আমরা নিজ স্বজনদের সাথে সময় না কাটিয়ে রোগীদের বাসায় বাসায় অক্সিজেন সিলিন্ডার পৌছে দিয়েছি। ঈদের প্রথম দিন থেকে শুরু করে হালিশহর বি ব্লক, গোলপাহাড়, বহদ্দারহাটসহ নগরীর ৮ জন রোগীকে বাসায় গিয়ে বিনামূল্যে অক্সিজেন সেবা দিয়েছি। আমি নিজে যেহেতু অসুস্থ অবস্থায় অক্সিজেনের অভাবে ধুকেঁছি, তাই আমি চাই না নগরীর কেউ যেনো অক্সিজেনের অভাবে মারা যায়।
তবে সংগঠনটির অন্যান্য সদস্যদের সাথে কথা বলে জানা গেছে যে তাদের কাছে বর্তমানে মোট ৩৬টি সিলিন্ডার রয়েছে, যেগুলো দিয়ে নগরীর বিভিন্ন জায়গার রোগীদের অক্সিজেন সেবা দিতে বেগ পেতে হচ্ছে। এইক্ষেত্রে নগরের বিত্তশালীদের সহযোগিতা কাম্য করেন তারা।