পি কে হালদার আওয়ামী লীগের কেউ না: ওবায়দুল কাদের
দেশের হাজার হাজার কোটি টাকা পাচারের অভিযোগ মাথায় নিয়ে আত্মগোপনে থাকা অবস্থায় ভারতে গ্রেফতার প্রশান্ত কুমার হালদার (পি কে হালদার) আওয়ামী লীগের কেউ নন বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক, সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।
তিনি বলেন, পি কে হালদার আওয়ামী লীগের কেউ না।দলে পি কে হালদারদের মতো লোকের জায়গা হবে না।
বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের উদ্দেশে ওবায়দুল কাদের বলেন, অর্থ পাচারের সঙ্গে জড়িতদের তালিকা প্রকাশ করতে হলে করুন।
মির্জা ফখরুল সাহেব, আপনি কালো চশমা পরে বক্তব্য দিচ্ছেন। বাংলাদেশের অর্থ পাচারের আসামি বিএনপি নেত্রী আপনাদের মা ও বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান তালিকায় এক নম্বরে আছেন।
আওয়ামী লীগের কেউ অর্থ পাচার করলে শেখ হাসিনা কাউকে ছাড় দেন না। তার জ্বলন্ত উদাহরণ ফরিদপুরে।
সোমবার (১৬ মে) দুপুরে মেহেরপুর শহীদ সামসুজ্জোহা পার্কে আয়োজিত জেলা আওয়ামী লীগের ত্রি-বার্ষিক সম্মেলন ভার্চ্যুয়ালি উদ্বোধন করে এসব কথা বলেন তিনি।
তিনি রাজধানীতে নিজ বাসভবন থেকে ভার্চ্যুয়ালি যুক্ত হন এ সম্মেলনে।
বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের উদ্দেশে ওবায়দুল কাদের বলেছেন, তথ্য প্রমাণ ছাড়া কোনো কথা বলবেন না। খুব বাড়াবাড়ি করছেন আপনি। প্রধানমন্ত্রীর নামটি উচ্চারণেও সম্মান দেখান না আপনি। প্রধানমন্ত্রী বাংলাদেশের স্থপতি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের কন্যা।
উদ্বোধনের পর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান এ অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও সংসদ সদস্য (এমপি) বাহা উদ্দীন নাসিম এবং প্রধান বক্তা খুলনা বিভাগীয় আওয়ামী লীগের সাংগাঠনিক সম্পাদক ও সংসদ সদস্য বিএম মোজাম্মেল হকসহ অন্যান্য অতিথিরা।
সম্মেলনে বিশেষ অতিথি হিসেবে আছেন আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির নির্বাহী সদস্য এমপি আমিনুল আলম, এমপি পারভীন জামান কল্পনা, এমপি গ্লোরিয়া ঝর্ণা এবং গাংনী উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও মেহেরপুর-২ আসনের এমপি মোহাম্মদ সাহিদুজ্জামান খোকন।
মেহেরপুর জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এম এ খালেকের সঞ্চালনায় সম্মেলনে স্বাগত বক্তব্য দেন- সম্মেলনের সভাপতি মেহেরপুর জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন দোদুল।
সম্মেলনে উপস্থিত আছেন মেহেরপুর জেলা ও পাশের জেলার আওয়ামী লীগ নেতৃবৃন্দ।
সম্মেলনের দায়িত্বশীলদের উদ্দেশে ওবায়দুল কাদের বলেন, নতুন কমিটিতে ত্যাগী ও দলের বিগত কমিটির অবহেলিত নেতা-কর্মীদের জায়গা দিতে হবে। কোনো চিহ্নিত সন্ত্রাসী, চাঁদাবাজ, মাদক ব্যবসায়ী, অবৈধ অর্থ পাচারকারীদের কমিটিতে নেওয়া যাবে না। আওয়ামী লীগে অনেক ভালো লোক আছে। দলের গুরুত্বপূর্ণ পদে তাদের পদায়ন করতে হবে। বসন্তের কোকিলরা দুঃসময়ে থাকবে না। সুবিধাভোগীদের দুঃসময়ে হাজার পাওয়ারের বাতি জ্বালিয়ে খুঁজে পাওয়া যাবে না।
তিনি আরও বলেন, ক্ষমতা থেকে আওয়ামী লীগের নয়, বরং জনগণ মনে করে, আন্দোলন ও নির্বাচনে ব্যর্থতার দায়ে মির্জা ফখরুলসহ বিএনপির টপ টু বটম নেতাদের পদত্যাগ করা উচিত। শেখ হাসিনার নেতৃত্বের আলোয় বাংলাদেশ আজ আলোকিত। দেশের উন্নয়ন ও অর্জন বিএনপি চোখে দেখে না।
দেশের চলমান উন্নয়ন-অর্জন ধরে রাখতে হলে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আগামীতেও আওয়ামী লীগকে ক্ষমতায় রাখতে হবে উল্লেখ করে তিনি বলেন, দেশের গণতন্ত্র, মুক্তিযুদ্ধ ও বাংলাদেশকে বাঁচাতে আওয়ামী লীগকে বাঁচাতে হবে। আগামী জাতীয় নির্বাচন ও আওয়ামী লীগের জাতীয় সম্মেলনকে সামনে রেখে এখন থেকেই দলকে সুসংগঠিত ও স্মার্ট করে গড়ে তুলতে হবে। শেখ হাসিনার নেতৃত্বে নৌকার বিজয় নিশ্চিত করতে হবে।