শেখ হাসিনাকে স্পেনের সরকার প্রধানের শুভেচ্ছা
বাংলাদেশ ও স্পেনের দ্বিপাক্ষিক কূটনৈতিক সম্পর্কের ৫০ বছর পূর্তি উপলক্ষে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে শুভেচ্ছা বার্তা পাঠিয়েছেন স্পেনের সরকার প্রধান পেড্রো সানচেজ।
স্পেন ১৯৭২ সালের ১২ মে বাংলাদেশকে কূটনৈতিক স্বীকৃতি প্রদান করেছিল। বিভিন্ন কর্মসূচি পালনের মধ্য দিয়ে বন্ধুপ্রতীম দুই দেশ এ বছর কূটনৈতিক সম্পর্কের সুবর্ণজয়ন্তী উদযাপন করছে।
বাংলাদেশ দূতাবাস থেকে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, বার্তায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রাজ্ঞ ও দূরদর্শী নেতৃত্বে অর্জিত বাংলাদেশের অনন্য সাধারণ আর্থ-সামাজিক উন্নয়ন এবং জাতিসংঘসহ আঞ্চলিক ও আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে বাংলাদেশের দায়িত্বশীল, সক্রিয় ও দৃশ্যমান ভূমিকার ভূয়সী প্রশংসা করেন সরকার প্রধান পেড্রো সানচেজ।
বহুপাক্ষিক বিশ্বব্যবস্থার নীতির প্রতি বাংলাদেশের অবিচল সমর্থন ও অঙ্গীকারের প্রশংসা করে স্পেনীয় নেতা বলেন, ‘২০০৮ সালে ঢাকায় স্পেনের আবাসিক দূতাবাস চালুর পর থেকে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক আরও বেগবান ও বহুধা বিস্তৃত হয়েছে। স্পেন বর্তমানে বাংলাদেশের চতুর্থ বৃহত্তম রফতানি-গন্তব্য। স্পেনীয় উদ্যোক্তা ও বিনিয়োগকারীরা বাংলাদেশে তাদের উপস্থিতি সম্প্রসারণে ক্রমবর্ধমান আগ্রহ প্রকাশ করছেন।’
বাণিজ্যের পরিধি ও বৈচিত্র্য বৃদ্ধিতে এবং দ্বিপাক্ষিক সহযোগিতার বিবিধ ক্ষেত্রে বিদ্যমান অমিত সম্ভাবনাকে কাজে লাগাতে ঘনিষ্ঠ অংশীদার হিসেবে স্পেন বাংলাদেশের সাথে একযোগে কাজ করে যাবে বলেও প্রত্যয় ব্যক্ত করেন পেড্রো সানচেজ।
অন্যদিকে, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাও দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের ৫০ বছর পূর্তি উপলক্ষে স্পেনের সরকার প্রধানকে শুভেচ্ছা জানিয়ে বার্তা পাঠিয়েছেন। বার্তায় প্রধানমন্ত্রী ২০১৯ সালে মাদ্রিদে অনুষ্ঠিত কপ-২৫ সম্মেলনের সাইডলাইনে স্পেনীয় সরকার প্রধানের সঙ্গে তার দ্বিপাক্ষিক বৈঠকের বিষয়টি স্মরণ করে আশাবাদ ব্যক্ত করেন, ‘সামনের দিনগুলোতে শিল্প ও প্রযুক্তি সহায়তা, ডিজিটাল কানেক্টিভিটি, বিদ্যুৎ ও জ্বালানি, লজিস্টিকস ও পরিবহন অবকাঠামো উন্নয়ন, জলবায়ু পরিবর্তনের অভিঘাত মোকাবিলা, শিক্ষা, সংস্কৃতি এবং গবেষণাক্ষেত্রে পারস্পরিক দ্বিপাক্ষিক সহযোগিতা আরও সম্প্রসারিত হবে।’
তিনি বাংলাদেশের বিভিন্ন সম্ভাবনাময় সেক্টরে স্পেনীয় বিনিয়োগ বৃদ্ধিরও আহ্বান জানান। বার্তায় প্রধানমন্ত্রী স্পেনের সরকার প্রধানকে পারস্পরিক সুবিধাজনক সময়ে বাংলাদেশ সফরের আমন্ত্রণ জানিয়েছেন।