শ্রীলঙ্কার ভারপ্রাপ্ত প্রেসিডেন্ট হিসেবে শপথ নিলেন রনিল

প্রকাশিত: জুলাই ১৫, ২০২২; সময়: ৬:২১ অপরাহ্ণ |

শ্রীলঙ্কার ভারপ্রাপ্ত প্রেসিডেন্ট হিসেবে শপথ নিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী রনিল বিক্রমাসিংহে। শুক্রবার (১৫ জুলাই) লঙ্কান প্রধান বিচারপতি জয়ন্তা জয়সুরিয়ার কাছে শপথবাক্য পাঠ করেন তিনি। লঙ্কান সংবাদমাধ্যম ডেইলি মিরর এ তথ্য নিশ্চিত করেছে।

শপথ নেওয়ার পর রনিল বিক্রমাসিংহে বলেছেন, আগামী ২০ জুলাই সব সংসদ সদস্য (এমপি) যেন স্বাধীনভাবে নতুন প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত করতে পারেন, তার জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবেন এবং সংবিধান সমুন্নত রাখতে কাজ চালিয়ে যাবেন।

তিনি বলেন, কিছু গোষ্ঠী রয়েছে যারা নতুন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ভোট দেওয়ার সময় এমপিদের ওপর অযাচিত প্রভাব ফেলতে চায়। তাই তাদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সব ধরনের পদক্ষেপ নেওয়া হবে।

শ্রীলঙ্কার ভারপ্রাপ্ত প্রেসিডেন্ট বলেন, আমি শান্তিপূর্ণ সংগ্রামের বিরোধী নই। তবে বিদ্রোহী ও বিক্ষোভকারীদের মধ্যে পার্থক্য চিহ্নিত করা দরকার। বিদ্রোহীরাই দুই পুলিশ সদস্যের অস্ত্র কেড়ে নিয়েছে এবং ২৪ সেনা সদস্যকে আহত করেছে। এরা আগামী সপ্তাহে অস্থিরতা সৃষ্টির চেষ্টা করছে। আমরা তা হতে দিতে পারি না। অস্থিরতার ফলে অর্থনৈতিক বিপর্যয় দেখা দেবে। কারণ খাদ্য, জ্বালানি ও গ্যাসের মতো প্রয়োজনীয় সামগ্রী বিতরণ স্থবির হয়ে পড়বে। তাই আমি সার্ভিস কমান্ডার ও আইজিপিদের সমন্বয়ে একটি কমিটি করে তাদের হাতে আইনশৃঙ্খলা বজায় রাখার দায়িত্ব তুলে দিয়েছি।

এর আগে শ্রীলঙ্কার পার্লামেন্টের স্পিকার ওয়াই অবেবর্ধনে জানান, ২২৫ জন পার্লামেন্ট সদস্যের মধ্যে সংখ্যাগরিষ্ঠ ভোটেরভিত্তিতে পরবর্তী প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হবেন।

শ্রীলঙ্কায় পলাতক গোতাবায়া রাজপাকসের ছেড়ে যাওয়া প্রেসিডেন্টের পদ দখলের লড়াইয়ে রয়েছেন মূলত তিনজন- প্রধানমন্ত্রী রনিল বিক্রমসিংহে, পার্লামেন্টের বিরোধী দলনেতা সাজিথ প্রেমদাসা ও প্রবীণ সাংবাদিক তথা পার্লামেন্ট সদস্য ডলাস অলহাপেরুমনা।

শ্রীলঙ্কার প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ভোট দেন সে দেশের প্রত্যেক নাগরিক। তবে এত কম সময়ের মধ্যে সেই আয়োজন কার্যত অসম্ভব। এই পরিস্থিতিতে তাই পার্লামেন্টের সদস্যদের ভোটের ভিত্তিতেই অন্তর্বতী প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের সিদ্ধান্ত হয়েছে সর্বদল বৈঠকে।

২২৫ সদস্যের শ্রীলঙ্কা পার্লামেন্টে রাজাপাকসের দল শ্রীলঙ্কা পড়ুজনা পেরমুনার (এসএলপিপি) সদস্য সংখ্যা ১০০। এছাড়া প্রধানমন্ত্রী রনিলের দল ইউনাইটেড ন্যাশনাল পার্টির (ইউএনপি) এক ও তালিম সংগঠন ইপিডিপির দুজন সদস্য রয়েছেন। ছয়বারের প্রধানমন্ত্রী রনিল ভোটে লড়লে এদের বড় অংশের সমর্থন পেতে পারেন।

অন্য দিকে, সাজিথের দল সমগি জন বলবেগয়ার (এসজেবি) ৫৪ পার্লামেন্ট সদস্য রয়েছেন। বৃহত্তম তামিল দল টিএনএর ১০ সদস্যের সমর্থনও তার পাশে রয়েছে। এই পরিস্থিতিতে অন্য ছোট দল ও ৪৫ জন স্বতন্ত্র সদস্যের সমর্থন নির্ণায়ক হতে পারে।

ডিজাইন ও কারিগরি: চট্টগ্রাম লাইভ
উপরে