আসাম যাওয়ার জন্য চট্টগ্রাম বন্দরে এলো ভারতের ট্রানজিট পণ্য

প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ৬, ২০২২; সময়: ১১:০০ অপরাহ্ণ |

রবিন পাল,চট্টগ্রাম থেকে

ট্রানজিট চুক্তির অংশ হিসেবে আরো একটি পরীক্ষামূলক (ট্রায়াল রান) চালান ভারত থেকে বাংলাদেশে এসেছে।

মঙ্গলবার (৬ সেপ্টেম্বর) রাত আটটার দিকে ট্রানজিটের এক কনটেইনার পণ্যসহ (রড) এমভি ট্রান্স সামুদেরা নামের জাহাজটি কলকাতার শ্যামাপ্রসাদ মুখার্জী বন্দর থেকে চট্টগ্রাম বন্দরে এসে পৌঁছেছে।

এর আগে রোববার (৪ সেপ্টেম্বর) সকাল ছয়টায় জাহাজটি কলকাতা থেকে রওনা দিয়েছিল। জাহাজটির লোকাল এজেন্ট ম্যাংগো লাইন লিমিটেড।

২০১৮ সালে বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে সম্পাদিত ‘অ্যাগ্রিমেন্ট অন দ্য ইউজ অব চট্টগ্রাম অ্যান্ড মোংলা পোর্ট ফর মুভমেন্টকে অব গুডস টু এন্ড ফরম ইন্ডিয়া’ চুক্তির আওতায় এ চালান আসছে। যা সড়ক পথে শ্যাওলা (সিলেট)- সুতারকান্দি (ভারত) স্থলবন্দর দিয়ে আসাম নেওয়া হবে।

চুক্তির অধীনে পণ্য পরিবহনের জন্য আটটি অনুমোদিত রুট রয়েছে, যথা, চট্টগ্রাম/মোংলা বন্দর থেকে আখাউড়া হয়ে আগরতলা, চট্টগ্রাম/মোংলা বন্দর থেকে তামাবিল হয়ে ডাউকি, চট্টগ্রাম/মোংলা বন্দর থেকে শেওলা হয়ে সুতারকান্দি, চট্টগ্রাম/মোংলা বন্দর থেকে বিবিরবাজার হয়ে শ্রীমন্তপুর এবং এর বিপরীতে চারটি রুটে।

২০২০ সালে এমভি সেঁজুতি জাহাজে কলকাতা বন্দর থেকে চট্টগ্রাম বন্দরে ট্রানজিটের চার কনটেইনার পণ্য এসেছিল। গত মাসে মোংলা বন্দর দিয়ে ট্রানজিটের আরেকটি সফল ট্রায়াল রান সম্পন্ন হয়েছে। চলতি সপ্তাহে মেঘালয় থেকে চায়ের কনটেইনার ডাউকি-তামাবিল হয়ে চট্টগ্রাম বন্দর দিয়ে ট্রানজিটের ট্রায়াল রানের শেষ চালানটি কলকাতা বন্দরে পাঠানোর পরিকল্পনা রয়েছে।

ট্রানজিট পণ্যভর্তি কনটেইনারটি বন্দরের বিভাগের বিশেষ তত্ত্বাবধানে রাখা হবে। কাস্টমসের আনুষ্ঠানিকতা শেষে কনটেইনারটি সড়কপথে সিলেট চলে যাবে।

ব্যবসায়ীরা ট্রানজিটকে ইতিবাক হিসেবে দেখছেন। তারা বলছেন, প্রতিবেশী দেশ ভারতের সঙ্গে ট্রানজিট চুক্তির আওতায় চট্টগ্রাম ও মোংলা বন্দর দিয়ে ট্রায়াল রান সম্পন্ন হচ্ছে এটি গৌরবের। এতে বন্ধুপ্রতিম দুই দেশ উপকৃত হবে। বন্দরের ফি, কাস্টমসের শুল্ক আহরণ বাড়বে, ট্রানজিট পণ্য পরিবহনে ভাড়া পাবে বাংলাদেশি উদ্যোক্তারা৷ তবে সড়ক ও রেলপথ অবকাঠামো কানেক্টিভিটি উন্নত করতে হবে৷ পাশাপাশি বন্দরের সক্ষমতাও বাড়াতে হবে।

ডিজাইন ও কারিগরি: চট্টগ্রাম লাইভ
উপরে