নাফ নদী নয়, মাদক ঢুকছে নাইক্ষ্যংছড়ি দিয়ে: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী

প্রকাশিত: জুলাই ২০, ২০২২; সময়: ৩:৪৬ অপরাহ্ণ |

পার্শ্ববর্তী দেশ মিয়ানমার থেকে চোরাচালানের মাধ্যমে মাদক ও অস্ত্র বাংলাদেশে ঢুকছে। এসবের বাহক হিসেবে কাজ করছে রোহিঙ্গা গোষ্ঠী।

তবে সীমান্তে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর তৎপরতায় নাফ নদী দিয়ে আগের মতো মিয়ানমার থেকে মাদকের চোরাচালান হচ্ছে না, কমে গেছে। তবে রুট পরিবর্তন হয়ে এখন বান্দরবানের দুর্গম এলাকা নাইক্ষ্যংছড়ি সীমান্ত ব্যবহার করে রোহিঙ্গারা মাদকের চালান আনছে।

বুধবার (২০ জুলাই) দুপুরে রাজধানীর হোটেল রেডিসনে আয়োজিত ‘রোহিঙ্গা ও নার্কো টেরোরিজম’ শীর্ষক সেমিনার শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে এসব কথা বলেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান।

তিনি বলেন, মাদক চোরাচালান করতে দুর্গম ওই জায়গাতে অস্ত্রও ব্যবহার করছে চোরাকারবারিরা।

সেখানে দায়িত্বরত আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর চোখ ফাঁকি দিয়ে ইয়াবার চালান আসছে বাংলাদেশে।
চট্টগ্রাম, কক্সবাজার ও বান্দরবান সীমান্তে বিজিবি এবং কোস্ট গার্ডের মতো বাহিনী থাকতেও কি করে রোহিঙ্গাদের ইয়াবা কারবারে ব্যবহার করা সম্ভব হচ্ছে? এমন প্রশ্নের জবাবে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি দুর্গম এলাকা। সেখানে এক কিলোমিটার দুর্গম পথ পাড়ি দিতে ছয় ঘণ্টার মতো সময় লাগে। সেখানে বিজিবিসহ অন্যান্য বর্ডার ফোর্সের সদস্যদের এক ক্যাম্প থেকে আরেক ক্যাম্পে যেতে সময় লাগে। এ সুযোগে কারবারিরা চলে আসেন।

তিনি বলেন, বাংলাদেশে ইয়াবা তৈরি করে না, রোহিঙ্গারাও ইয়াবা তৈরি করে না। কিন্তু ইয়াবা আসে সীমান্ত দিয়ে। এর ভুক্তভোগী হচ্ছে বাংলাদেশ। তাই আমরা সীমান্তে বিজিবি ও কোস্টগার্ডের সক্ষমতা বাড়ানোর চেষ্টা করছি। ইতোমধ্যে আমরা সেখানে নিয়োজিত বিজিবি সদস্যদের দায়িত্ব পালনে হেলিকপ্টার দিয়েছি।

ডিজাইন ও কারিগরি: চট্টগ্রাম লাইভ
উপরে