ভারত কেন জাতিসংঘে ভোট দেয়া থেকে বিরত ছিল ফখরুলের কাছে প্রশ্ন তথ্যমন্ত্রী’র

প্রকাশিত: মার্চ ৫, ২০২২; সময়: ৯:৫১ অপরাহ্ণ |

শনিবার (৫ মার্চ) চট্টগ্রাম নগরীর দেওয়ানজী পুকুর পাড়ের বাসা থেকে সন্ধ্যায় ভার্চুয়াল পদ্ধতিতে যুক্ত হয়ে রাজধানীর আগারগাঁওয়ে বাংলাদেশ ফিল্ম আর্কাইভ প্রেক্ষাগৃহে ১৫তম আন্তর্জাতিক শিশুতোষ চলচ্চিত্র উৎসব উদ্বোধনকালে প্রধান অতিথির বক্তৃতা শেষে স্থানীয় সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী ড.হাসান মাহমুদ বলেন ‘জাতিসংঘে কৌশলগত কারণে বাংলাদেশ ভোটদানে বিরত ছিলো। ভারতও বিরত ছিলো। সব বিষয়ে মতামত দিতে দিতে খেইহারা বিএনপির মহাসচিব কি ভারতের বিরত থাকার ব্যাখ্যাও দেবেন’- প্রশ্ন রাখেন তিনি।

তিনি বলেন,বিএনপি নেতারা আসলে সব বিষয়ে মতামত দিতে দিতে কোনটাতে কি বলবেন খেই হারিয়ে ফেলেন উল্লেখ করে তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী বলেন, ‘আমাদের পররাষ্ট্রনীতি হচ্ছে সবার সাথে বন্ধুত্ব। এবং আমরা অবশ্যই যে কোনো সংঘাতের বিরোধী। পৃথিবীতে শান্তি স্থাপিত হোক, শান্তি বিরাজ করুক সেটিই আমরা চাই। কৌশলগত কারণে বাংলাদেশ জাতিসংঘে ভোটদানে বিরত ছিলো। ভারতও বিরত ছিলো।’

বিএনপি মহাসচিবের মন্তব্য ‘জাতিসংঘে রাশিয়ার বিরুদ্ধে নিন্দাপ্রস্তাবে ভোটদানে বিরত থাকা সংবিধান লংঘন’ এ বিষয়ে প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, ‘জাতিসংঘে বাংলাদেশসহ সকল দেশই বিভিন্ন সময়ে অনেক ক্ষেত্রে ভোটদানে বিরত থাকে। এবার যখন জাতিসংঘে এই প্রস্তাব আনা হয়, তখন ভারতসহ বিশ্বের অনেক দেশ ভোটদানে বিরত ছিলো। মির্জা ফখরুল সাহেবের কাছে আমার প্রশ্ন– ভারত কেনো ভোটদানে বিরত ছিলো সেটিরও একটি ব্যাখ্যা যদি তিনি দেন।’

এসময় দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধি নিয়ে প্রশ্নের জবাবে ড. হাছান বলেন, ‘চল্লিশের দশকে যখন বাংলায় দুর্ভিক্ষ হয়, তখন এক আনা অর্থাৎ ১৬ পয়সায় কয়েক কেজি চাল পাওয়া যেতো। অর্থাৎ দেখতে হবে, দ্রব্যমূল্যের সাথে মানুষের ক্রয়ক্ষমতা বেড়েছে কি না। গত ১৩ বছরে দেশের মানুষের মাথাপিছু আয় বেড়েছে প্রায় সাড়ে চারগুণ আর নিম্নআয়ের মানুষের ক্রয়ক্ষমতা বেড়েছে প্রায় তিনগুণ, মধ্যম আয়ের মানুষের ক্রয়ক্ষমতাবৃদ্ধিও এমনই। তাছাড়া ইউরোপ-আমেরিকার দেশগুলোর তুলনায় দেশে ভোগ্যপণ্যের মূল্যবৃদ্ধি হার অনেক কম।’

বাংলার সমৃদ্ধি জাহাজ থেকে নাবিকদের উদ্ধারের জন্য প্রধানমন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানিয়ে তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘আন্তর্জাতিক বিধিবিধান অনুযায়ী যখন কোনো জাহাজ পরিত্যক্ত হয় তখন কিন্তু সেই জাহাজের মালিকানা কোথায় যাবে সেটি বলা যায় না। সরকার জাহাজের মালিকানার চেয়েও নাবিকদের জীবন রক্ষাকেই গুরুত্ব দিয়েছে। সেজন্য জাহাজ পরিত্যক্ত ঘোষণা করে জাহাজের নাবিকদের নিরাপদে সরিয়ে নিয়েছে। এজন্য মাননীয় প্রধানমন্ত্রী নিশ্চয়ই ধন্যবাদ পাওয়ার অধিকার রাখেন’।

তিনি আরো বলেন,বঙ্গবন্ধু কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনা যেভাবে নাবিকদেরকে উদ্ধার করে সেখানে নিরাপদ স্থানে নিয়ে গেছেন, একইসাথে সেখানে যারা বাংলাদেশি আছে তাদেরকেও নিরাপদ স্থানে নিয়ে যাবার জন্য আমাদের সরকার বিভিন্ন দূতাবাসের মাধ্যমে কাজ করছে এবং অনেককেই নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নেয়া হয়েছে।

ডিজাইন ও কারিগরি: চট্টগ্রাম লাইভ
উপরে